0

বেল টাওয়ার, শিয়ান
প্রচলিত আছে যে, ‘আধুনিক চীন দেখতে চাইলে সাংহাই যাও। তোমার যদি এক হাজার বছরের পুরনো চীন দেখতে ইচ্ছে হয়, তবে বেইজিং ঘুরে এসো। আর তিন হাজার বছরের পুরনো চীনকে আবিষ্কার করতে হলে তোমাকে অবশ্যই শিয়ান (Xi’an) যেতে হবে।’ পাঁচ দিনের শিয়ান সফরে সেই তিন হাজার বছরের পুরনো চৈনিক সভ্যতাকে দেখার সুযোগ মিলল মে ২০১২’তে। ঐতিহাসিক সিল্ক রুট বা সিল্ক রোডের শুরুটা হয়েছিল এ নগরী থেকেই। যা পৌঁছেছিল আফগানিস্তান, ইরান, ভারত, গ্রিস এবং রোমে। দু’হাজার বছর আগে এই পথে চীন থেকে রপ্তানি হত রেশম, গান পাউডার, কার্পেট, কাগজ বানানোর উপকরণ এবং অন্যান্য মুদ্রণ সামগ্রী।
সিল্ক রুট/রোডের পণ্য পরিবহণকারী উটের মূর্তি (শিয়ান যাদুঘরে সংরক্ষিত)
শিয়ান চৈনিক সভ্যতার প্রথম রাজধানী। বর্তমানে শানছি প্রদেশের (Shaanxi Province) এর রাজধানী অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার শিয়ান অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ভরপুর এক নগরী। বিশ্বের চারটি প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন সমৃদ্ধ শহরগুলোর মধ্যে এথেন্স, রোম ও কায়রোর সাথে শিয়ান একটি। তিন হাজার বছর ধরে বিকাশমান এই নগরী প্রাচীন চীনের ১৩টি রাজবংশের রাজধানী ছিল। আদি রাজধানীর স্থাপত্যশৈলী মোটামুটি অবিকল রাখার প্রয়াস দেখা গেল শহরে ঢোকার মুখে। আদি শিয়ান বিশাল প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যা এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাওয়া যানবাহনের কারণে তীব্র যানজটের শিকার শিয়ানবাসী। তবে সরকার নগররক্ষণ দেয়াল ভাঙতে রাজী হয়নি। মূল শহরের ঐতিহ্য পুরাকীর্তি আর ঐতিহাসিক সব নিদর্শনকে বহাল রেখে – শহর বাড়ছে উপকণ্ঠে।
প্রাচীর দিয়ে ঘেরা পুরনো শিয়ান নগরী
শিয়ানের প্রাচীন নাম হল চাংআন (Chang’an) যার অর্থ হচ্ছে চিরশান্তির শহর। বৌদ্ধ ও মুসলিম সভ্যতার পাশাপাশি অবস্থান বিষয়টির সত্যতা আজো বহন করে চলেছে।
ক্ষুদে রাজহাঁস প্যাগোডা, শিয়ান
Zhongshan Grotto (শানছি হিস্টোরিকাল মিউজিয়ামে রক্ষিত)
Zhongshan পাহাড়ের পাদদেশে সং ডাইন্যাস্টির সময়ে ১০৬৭ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বুদ্ধের মূল অবতারটির উচ্চতা ১.৪ মিটার, প্রস্থ ১১.৫ মিটার এবং গভীরতা ৫ মিটার। মূল অবতারের চারপাশে ২-৩ মিটার উচ্চতার ১৬টি বুদ্ধ মূর্তিসহ এখানে মোট ১০,০০০এর বেশি ক্ষুদ্রাকার বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে।
শিয়ান গ্রেট মসজিদের একাংশ
শিয়ান মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল ৭৪২ খ্রিস্টাব্দে তাং ডাইন্যাস্টির আমলে। মোট ১৩,০০০ বর্গ মিটার আয়তনের এই মসজিদটি চীনা ও মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নিদর্শন।
সম্রাট শিন শি হুয়ান
শিয়ানকে চীনের প্রথম রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন চীনের প্রথম সম্রাট শিন শি হুয়ান। খ্রিস্টপূর্ব ২৫৯ অব্দে তার জন্ম। রাজা ঝুয়ানজিয়াং এর সন্তান ছিলেন তিনি। মাত্র তের বছর বয়সে শিন রাজ্যের অধিপতি হন শিন। তবে রাজ্য শাসনের ভার গ্রহণ করেন বাইশ বছর বয়সে। পরবর্তীতে খ্রিস্টপূর্ব ২২১ অব্দে প্রাচীন চীনের মোট ৬টি রাজ্য- শি, চু, ইয়ান, হান, ঝাও এবং ওয়েই জয় করে সামন্ততন্ত্রের বিলুপ্তি ঘোষণা করে অখণ্ড শিন সাম্রাজ্যের পত্তন করেন সম্রাট শিন। শিয়ানের শিয়ান যাদুঘর এবং শানছি হিস্টোরিকাল মিউজিয়াম ঘুরে প্রাচীন চৈনিক সভ্যতার অসংখ্য নিদর্শন চোখে পড়ে।
সম্রাট শিনের আমলে নির্মিত টেরাকোটা আর্মি যাদুঘর অসাধারণ পুরাকীর্তি। বিশ্বের অষ্টম বিস্ময় হিসেবে খ্যাত টেরাকোটা মিউজিয়ামটি ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯৮৭ সালে World Cultural Heritage ঘোষিত হয়েছে। এই যাদুঘরটি প্রতি বছর দু’ মিলিয়ন পর্যটকের চারণভূমি। বিশ্বের সমস্ত প্রভাবশালী দেশসমূহের কর্ণধারগণের পদধূলি পড়েছে এখানে। শিয়ান শহর থেকে বাসযোগে ঘণ্টা দেড়েক লাগল মিউজিয়ামে পৌঁছুতে। গেটে টিকেট নিয়ে লম্বা লাইন। মূল প্রবেশ দ্বার থেকে মূল প্রদর্শনী স্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের জন্য আলাদা বন্দোবস্ত রয়েছে। মিনিট পনের দাঁড়িয়ে থাকার পর আমাদের ঐ বিশেষ যানে চড়ার সুযোগ এলো। উপচে পড়া পর্যটকদের জন্যই এই বিলম্ব। টেরাকোটা নির্মিত যোদ্ধা, চ্যারিয়ট এবং ঘোড়ার ৮০০০ এর অধিক মূর্তিসহ মোট ২২,০০০ বর্গ মিটার আয়তনের এই মিউজিয়ামটি চারটি খননক্ষেত্র (Pit) আর একটি প্রদর্শনী ভবন নিয়ে গঠিত। প্রতিটি খনন ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে ভবন নির্মিত হয়েছে, খননস্থলের আদি অবস্থাকে অবিকল রেখে।
টেরাকোটা আর্মি যাদুঘর
টেরাকোটা আর্মি খ্যাত এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন স্থানটি লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। কৃষি ক্ষেত্রে পানি সেচের জন্য শানছি প্রদেশের শিয়ান গ্রামের একদল কৃষক ওই বছরের ২৯ মার্চ কূপ খননকালে মৃৎ নির্মিত মূর্তি ও ব্রোঞ্জ নির্মিত সমরাস্ত্রের সন্ধান পান। তারা তাৎক্ষণিক ভাবে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন। ফলশ্রুতিতে সরকারী অনুমোদনক্রমে একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ ১৭ জুলাই ১৯৭৪ সালে এখানে অনুসন্ধান এবং খনন কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালের ১ অক্টোবর টেরাকোটা মিউজিয়ামটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এভাবেই চীনের টেরাকোটা মিউজিয়ামের বিস্ময়কর দিক হল এর প্রতিটি যোদ্ধা এবং যোদ্ধা স্বতন্ত্র চেহারার। এদের মুখভঙ্গি, চোখের চাহনি অভিব্যক্তি – স্বকীয় মহিমায় খোদিত।
ধারণা করা হচ্ছে যে, সম্রাট শিন মৃত্যুর পরের জীবনটিকেও রাজার হালে যাপনের জন্য সৈন্যদের চেহারা ডামি হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে তাদের সম্ভবত মেরে ফেলা হয়েছিল। এই মূর্তিগুলো শতাধিক খণ্ডে বিভক্ত অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ দিবারাত্রির নিরলস প্রচেষ্টায় এদের যথাসাধ্য পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে এনেছেন। খনন ক্ষেত্রে এখনও অসংখ্য ভাঙা টুকরো পড়ে রয়েছে, যেগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।
এ মূর্তিগুলো গড়তে শিন রাজত্বের মৃৎশিল্পীগন অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিল বলে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন। উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার তারা জানত। মূর্তিগুলোর উচ্চতাও সত্যিকারের মানুষ এবং ঘোড়ার আকারে গড়া হয়েছে। মূর্তিগুলোর স্থায়িত্ব বহাল রাখার জন্য ৯৫০ থেকে ১০৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এদের পোড়ানো হয়েছিল। স্থানীয় পাহাড়ের মাটি দিয়ে নির্মিত মূর্তিগুলোর ওজন ১১০ থেকে ৩৩০ কিলোগ্রাম এবং এদের গড় উচ্চতা ১.৮ মিটার। মনুষ্য মূর্তিগুলোর মাথা, দেহ এবং হাত ফাঁপা। এদের পাগুলোকে সলিড হিসেবে বানানো হয়েছে যাতে দেহের ওজন বহন করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন: মাথা, শরীর, হাত ও পা নির্মাণে পৃথক মোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। মূর্তিগুলোর নাক, কান, চুল স্বতন্ত্রভাবে হাতে নির্মাণের পর দেহে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেকটি মূর্তির ক্ষেত্রে মুখ, দাড়িগোঁফ, চুল সম্ভবত ধারালো বাঁশ দিয়ে চেঁছে স্বকীয় চেহারা আনা হয়েছে। তদুপরি, মূর্তিগুলো পোড়ানোর সময় মাথা ও শরীর প্রতিটি পৃথক ভাবে পোড়ানো হয়েছিল। অভ্যন্তরস্থিত গ্যাস ও জলীয় বাষ্প সহজ নির্গমনের জন্য এ কাজটি করা হয়েছিল বলে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ মনে করেন। এ কারণেই নাকি পোড়ানোর সময় মূর্তিগুলো টুকরো হয়ে যায়নি। এ পর্যন্ত মোট ৮০জন মৃৎ শিল্পীর নাম খোদাইকৃত অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়েছে সৈন্যদের বর্মে অথবা হাতিয়ারে।
পদস্থ সেনাগণ
হাঁটু গেঁড়ে বসা তীরন্দাজ
টেরাকোটা যোদ্ধারা মোট সাতটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত: উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কর্মকর্তা, অস্ত্রধারী এবং নিরস্ত্র যোদ্ধা, চ্যারিয়টবাহী যোদ্ধা, অশ্বারোহী, হাঁটু গেঁড়ে বসা তীরন্দাজ, এবং দণ্ডায়মান তীরন্দাজ। কর্মকর্তা এবং যোদ্ধারা সবাই রঙিন পোশাক পরিহিত ছিলেন। যদিও বন্যা এবং কৃষক বিদ্রোহীদের আগুনে এসব রঙ প্রায় বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে সৈন্যদের পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে কোন শ্রেণীবিভাগ ছিল না। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, যে, খ্রিস্ট পূর্ব ২০৩ অব্দে শিন রাজবংশের একজন বিদ্রোহী সম্রাট শিনের ভূগর্ভস্থ রাজপ্রাসাদ এবং সমাধিক্ষেত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে ছাদ বিধ্বস্ত হয়ে মূর্তিগুলোর ওপর পড়ে এগুলো টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
ভাঙ্গা টুকরোগুলোকে কুড়িয়ে আনা এবং সেগুলো যথাযথভাবে জোড়া দিতে কয়েক মাস লেগে যায়।
চারটি খনন ক্ষেত্রের মধ্যে ১ নম্বরটি সবচেয়ে বড়। পূর্ব-পশ্চিমে এটি ২৩০ মিটার লম্বা, উত্তর-দক্ষিণে ৬২ মিটার চওড়া এবং এর গভীরতা ৫ মিটার। এর আয়তন ১৪,২৬০ বর্গ মিটার। এখানকার টেরাকোটা যোদ্ধা এবং অশ্ব মূর্তিগুলো প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্রের আদলে সজ্জিত। সম্মুখভাগে ৩ সারি ভ্যানগার্ড – যার প্রতিটিতে ৬৮টি করে মোট ২০৮ টি সৈন্য মূর্তি রয়েছে। পরের সারিতে ৩০টি চ্যারিয়ট যার প্রতিতে ৪টি করে ঘোড়া রয়েছে।
পিট-১
পিট-১
পিট-১
দ্বিতীয় খননক্ষেত্রটি ইংরেজি এল আকৃতি বিশিষ্ট, যা ১ নম্বর পিট থেকে ২০ মিটার দূরে অবস্থিত। এখানে ১৩০০ জন পদাতিক সৈন্য, ৩৩২ জন তীরন্দাজ, ৬৮টি চ্যারিয়ট, ১০৮ জন অশ্বারোহী সেনা ৪টি সারিতে মিশ্রিত অবস্থায় রয়েছে। এখানে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ এখনো খনন কাজ চালাচ্ছেন।
পিট-২
তৃতীয় খননক্ষেত্রটিতে শুধুমাত্র ৬৮টি যোদ্ধা, ৩৪টি ব্রোঞ্জ নির্মিত অস্ত্র এবং চার-ঘোড়াবাহিত একটি চ্যারিয়ট রয়েছে। এটি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি কম্যান্ড সেন্টার ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। চার নম্বর খননক্ষেত্রটিতে কিছুই পাওয়া যায়নি।
পিট-৩
নিজেকে অমর রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ চীনের প্রথম সম্রাট শিন শি হুয়ান মৃত্যুবরণ করেছিলেন মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সে। কৃষক বিদ্রোহে ধ্বংস হয়েছিল তার রাজপ্রাসাদ, সমাধিক্ষেত্রসহ বহু স্থাপনা। তার লুকিয়ে রাখা সৎকারবিহীন মৃতদেহের গন্ধ ঢাকতে নাকি টন টন মাছ ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে চীনারা গ্রেট ওয়াল নির্মাণের প্রথম উদ্যোক্তা, পরিমাপকের একক পদ্ধতি প্রচলনকারী, বিশাল চীনকে একক সাম্রাজ্যে পরিনতকারী এই পরাক্রমশীল সম্রাটকে যেমন ভুলে যায়নি, তেমনি বিশ্ববাসীর কাছেও তিনি অমর হয়ে আছেন এ সব অবিস্মরণীয় নির্মাণের জন্য।
গ্রেট ওয়াল
(তথ্য সূত্রঃ The Qin Dynasty Terra-Cotta Army of Dreams (2005), Zhang Lin, Xi’an Press.
ছবিগুলো সব নিজের তোলা, শুধুমাত্র সম্রাট শিন শি হুয়ান এর ছবিটি গুগল থেকে নেয়া। ছবিগুলোকে ব্লগে ধারণযোগ্য করতে গিয়ে এর মানের সাথে আপস করতে হয়েছে বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।)

YOUR NAMEAbout Me
আসসালামু আলাইকুম। নবীন বাংলা ব্লগ সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আসলে এই ব্লগ সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এবং আমি এই সাইটের এডমিন, মূলত ব্লগিং প্রাকটিস এবং মুক্ত জ্ঞাণ চর্চার জন্যই এই সাইটটি ওপেন করেছি। আমার সাইটের পোস্টগুলো অন্যান্য সুনাম খ্যাত ব্লগ সাইটে সমূহে পাবলিশ করে থাকি তথারুপ টেকটিউন্স, টিউনারপেইজ। ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকব নবীন বাংলা ব্লগে লেখালেখি করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এখানে অন্যান্য লেখকদের বাছাই করা পোস্টগুলো পাবলিশ করা হয়। এবং ইচ্ছা করলে আপনিও এই ব্লগের অতিথি লেখক হিসাবে শুরু করতে পারেন।পরিশেষে আমার সাইট কিংবা প্রকাশিত লেখা সম্পর্কে কোন আপনাদের অভিযোগ, মতামত, পরামর্শ থাকলে তা সাদরে গ্রহন করা হবে। আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সবাইকে!!
Follow : | | Facebook | Twitter

Post a Comment

 
Top