(মূল লেখক: তারেক অনু, সচালায়তন)
উপরের ছবিটি দেখে আমার এক বন্ধু বলেছিল ছবিটা কিউবার প্রতীক! কিভাবে- সেই সিগার, সেই অ্যান্টিক গাড়ী, সেই পানামা হ্যাট! কিউবার শেষ পোস্টে বলেছিলাম সবুজ দ্বীপটা নিয়ে নতুন কোন গল্প সহসা আঁকব না, মনের গভীর থেকে কোন স্মৃতি বের হবার জন্য ভীষণ জোরাজুরি শুরু করলে তবেই আবার স্মৃতিচারণ করব কিউবা নিয়ে।
কিন্তু গত শুক্রবারে বিখ্যাত নাট্যকার এবং অভিনেতা মামুনুর রশিদের এক সাক্ষাৎকারে দেখলাম তিনি বলেছেন- মানুষ যে কত ভাল হতে পারে তা আমি কিউবা যেয়ে বুঝেছি। কেন যেন এরপর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ক্রমাগত তাদের অস্তিত্ব জানান দিতেই আছে মাথার ধূসর নিউরনে! ভাবলাম, ঘটনাগুলো আপাতত থাক, বরং কিছু আলোকচিত্রই ভাগাভাগি করি সবার সাথে, সেই সাথে এর কয়েকটার পিছনের কাহিনী। ( কিছু ছবি সচলে আগের কোন পোস্টে এসে থাকতেও পারে)। আর সবুজ সেই দ্বীপের আর তার সংগ্রামী জনতার গল্প? পরের বারের জন্য তোলা থাক—
ইউনেস্কো কতৃক বিশ্বের সবচেয়ে নয়নাভিরাম স্থান বলে নির্বাচিত ভিনিয়ালাসের স্বর্গ উপত্যকা

বপন

নীলাম্বরী

উড়াল

হাভানা

ছবির ঝাঁকড়া গাছটি দেখে হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের অমর সৃষ্টি অ্যালান কোয়াটারমেইনের কিছু লাইন মনে পড়েছিল–

সুন্দর বড় গাছ দেখতে চিরদিনই আমার ভাল লাগে। শৈত্যপ্রবাহের সময় কি গর্বভরে মাঠ উঁচু করে থাকে ওরা, প্রাণ ভরে অনুভব করে বসন্তের পদধ্বনি! কি অসাধারণ শোনায় তাদের কণ্ঠ, যখন তারা কথা বলে বাতাসের সাথে। পাতার ফিসফিসানির কাছে হার মানে বায়ূ দেবতা ঈওল্যাসের হাজারটা বীণা। সারাদিন পাতাগুলো চেয়ে চেয়ে দেখে সূর্যালোক, সারারাত ধরে দেখে তারা। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাদের খাবার জোগায় মা ধরিত্রী। অনেক দালান-কোঠা-বংশের উত্থান পতন দেখার পর অবশেষে ঘনিয়ে আসে চূড়ান্ত দিন। হয় লড়াইয়ে সেদিন জিতে যায় বাতাস, নয়তো নেমে আসে অস্বাভাবিক মৃত্যু।
বড় একটা গাছ কাটার আগে সবার একবার ভেবে দেখা দরকার।
সৈকতে

ঘোড়সওয়ার

কাঠ ঠোকা সহজ নয় !

স্বর্গ

বিদায় বর্ণবাদ!

গাঁ

বৌনি

সোনাঝরা রোদ

প্রহরী

কুসুমিত ইস্পাত ( হামিং বার্ডটিকে কাঁটাতারের বেড়ার উপরে বসতে দেখে কবি হুমায়ূন কবিরের অমর কাব্য গ্রন্থটির নাম পড়ে ছিল, যেন ইস্পাতের সেই নিষ্ঠুর কর্কশ বেড়া কুসুমিত হয়ে উঠেছিল পাখিটির কোমলতায়)

ক্যামিলো

ক্রান্তীয় ঝড়

রিকশা

শেষ আশ্রয়

সুখ

মাছের খোঁজে

উপনিবেশ

ক্রীড়া

অপেক্ষা

রঙিলা

খামার

কোমলতা

ফলের দোকান

নির্ভরতা

প্রবাল সাগর

নিষ্পাপ

প্রকৃতি

নীল নির্জনে

ফল বিক্রেতা

দেবদূত

বাদা বন

প্রতিবেশী

দ্বীপের রাজা

জীবনের এই সব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল

আড্ডা

প্রতিচ্ছবি

মায়া

উষ্ণতার সন্ধানে

পাহাড়ি ভোর

ওল্ড হাভানা

রঙ

মুখ ও মুখোশ

জেলি ফিশ

এক বিকেলে

সমুদ্র

দম্পতি

(অবশ্য এই ছবির নিচে তাসনীম ভাই লিখেছিলেন- আলহামদুলিল্লাহ…এই শরীর নিয়ে আর বিপ্লব করা যাবে না। বিপ্লব ইজ ওভার।)
তেপান্তর

কিউবায় বঙ্গসন্তান

বইয়ের দোকান

জীবনের জলছবি

ধূসর গোধূলি

উচ্ছল

ক্ল্যাসিক যান!

শস্যক্ষেত্র

দাস ব্যবসায় ব্যবহৃত দুর্গ

দৃষ্টি

ইতিহাসের সাক্ষী

পূজারীর বিশ্বাসেই দেবতা বেঁচে থাকে-

সীমানা

বাটারফ্লাই এফেক্ট

কৈবর্তকথা

বন পাহাড় হ্রদ

এটি কোন ভাল ছবি নয়, কিন্তু শুধুমাত্র হামিংবার্ড কিভাবে বৃষ্টির সময় তার বিশাল জিহ্বা বাহির করে জলপান করে সেটি দেখানোর জন্য দেওয়া।

মাঠের পারে দূরের দেশ

সময়

এটি কিউবার রাস্তায় তোলা আমার সবচেয়ে প্রিয় ছবি। পার্বত্য শহর ভিনিয়ালেসের এক ক্ষুদে ক্যাফেতে বসে উপত্যকায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা উপভোগ করছি চমৎকার আইসক্রিমের সাথে, রাস্তার ওপর পাড়ে দেখি দাদীমা দাড়িয়ে আছেন, আর বেশ দূরে দেখি ছবির তরুণী হেঁটে আসছে সেদিক পানেই। চকিতেই মনে হল তাদের একসাথে যদি ফ্রেমবন্দী করতে পারি, একটা গল্পময় আলোকচিত্র হতেও পারে। লেন্স তাক করে বসেছিলাম খানিকক্ষণ এই অসাধারণ মুহূর্তটির জন্য।
উপরের ছবিটি দেখে আমার এক বন্ধু বলেছিল ছবিটা কিউবার প্রতীক! কিভাবে- সেই সিগার, সেই অ্যান্টিক গাড়ী, সেই পানামা হ্যাট! কিউবার শেষ পোস্টে বলেছিলাম সবুজ দ্বীপটা নিয়ে নতুন কোন গল্প সহসা আঁকব না, মনের গভীর থেকে কোন স্মৃতি বের হবার জন্য ভীষণ জোরাজুরি শুরু করলে তবেই আবার স্মৃতিচারণ করব কিউবা নিয়ে।
কিন্তু গত শুক্রবারে বিখ্যাত নাট্যকার এবং অভিনেতা মামুনুর রশিদের এক সাক্ষাৎকারে দেখলাম তিনি বলেছেন- মানুষ যে কত ভাল হতে পারে তা আমি কিউবা যেয়ে বুঝেছি। কেন যেন এরপর থেকেই অনেকগুলো ঘটনা ক্রমাগত তাদের অস্তিত্ব জানান দিতেই আছে মাথার ধূসর নিউরনে! ভাবলাম, ঘটনাগুলো আপাতত থাক, বরং কিছু আলোকচিত্রই ভাগাভাগি করি সবার সাথে, সেই সাথে এর কয়েকটার পিছনের কাহিনী। ( কিছু ছবি সচলে আগের কোন পোস্টে এসে থাকতেও পারে)। আর সবুজ সেই দ্বীপের আর তার সংগ্রামী জনতার গল্প? পরের বারের জন্য তোলা থাক—
ইউনেস্কো কতৃক বিশ্বের সবচেয়ে নয়নাভিরাম স্থান বলে নির্বাচিত ভিনিয়ালাসের স্বর্গ উপত্যকা

বপন

নীলাম্বরী

উড়াল

হাভানা

ছবির ঝাঁকড়া গাছটি দেখে হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের অমর সৃষ্টি অ্যালান কোয়াটারমেইনের কিছু লাইন মনে পড়েছিল–

সুন্দর বড় গাছ দেখতে চিরদিনই আমার ভাল লাগে। শৈত্যপ্রবাহের সময় কি গর্বভরে মাঠ উঁচু করে থাকে ওরা, প্রাণ ভরে অনুভব করে বসন্তের পদধ্বনি! কি অসাধারণ শোনায় তাদের কণ্ঠ, যখন তারা কথা বলে বাতাসের সাথে। পাতার ফিসফিসানির কাছে হার মানে বায়ূ দেবতা ঈওল্যাসের হাজারটা বীণা। সারাদিন পাতাগুলো চেয়ে চেয়ে দেখে সূর্যালোক, সারারাত ধরে দেখে তারা। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাদের খাবার জোগায় মা ধরিত্রী। অনেক দালান-কোঠা-বংশের উত্থান পতন দেখার পর অবশেষে ঘনিয়ে আসে চূড়ান্ত দিন। হয় লড়াইয়ে সেদিন জিতে যায় বাতাস, নয়তো নেমে আসে অস্বাভাবিক মৃত্যু।
বড় একটা গাছ কাটার আগে সবার একবার ভেবে দেখা দরকার।
সৈকতে

ঘোড়সওয়ার

কাঠ ঠোকা সহজ নয় !

স্বর্গ

বিদায় বর্ণবাদ!

গাঁ

বৌনি

সোনাঝরা রোদ

প্রহরী

কুসুমিত ইস্পাত ( হামিং বার্ডটিকে কাঁটাতারের বেড়ার উপরে বসতে দেখে কবি হুমায়ূন কবিরের অমর কাব্য গ্রন্থটির নাম পড়ে ছিল, যেন ইস্পাতের সেই নিষ্ঠুর কর্কশ বেড়া কুসুমিত হয়ে উঠেছিল পাখিটির কোমলতায়)

ক্যামিলো

ক্রান্তীয় ঝড়

রিকশা

শেষ আশ্রয়

সুখ

মাছের খোঁজে

উপনিবেশ

ক্রীড়া

অপেক্ষা

রঙিলা

খামার

কোমলতা

ফলের দোকান

নির্ভরতা

প্রবাল সাগর

নিষ্পাপ

প্রকৃতি

নীল নির্জনে

ফল বিক্রেতা

দেবদূত

বাদা বন

প্রতিবেশী

দ্বীপের রাজা

জীবনের এই সব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল

আড্ডা

প্রতিচ্ছবি

মায়া

উষ্ণতার সন্ধানে

পাহাড়ি ভোর

ওল্ড হাভানা

রঙ

মুখ ও মুখোশ

জেলি ফিশ

এক বিকেলে

সমুদ্র

দম্পতি

(অবশ্য এই ছবির নিচে তাসনীম ভাই লিখেছিলেন- আলহামদুলিল্লাহ…এই শরীর নিয়ে আর বিপ্লব করা যাবে না। বিপ্লব ইজ ওভার।)
তেপান্তর

কিউবায় বঙ্গসন্তান

বইয়ের দোকান

জীবনের জলছবি

ধূসর গোধূলি

উচ্ছল

ক্ল্যাসিক যান!

শস্যক্ষেত্র

দাস ব্যবসায় ব্যবহৃত দুর্গ

দৃষ্টি

ইতিহাসের সাক্ষী

পূজারীর বিশ্বাসেই দেবতা বেঁচে থাকে-

সীমানা

বাটারফ্লাই এফেক্ট

কৈবর্তকথা

বন পাহাড় হ্রদ

এটি কোন ভাল ছবি নয়, কিন্তু শুধুমাত্র হামিংবার্ড কিভাবে বৃষ্টির সময় তার বিশাল জিহ্বা বাহির করে জলপান করে সেটি দেখানোর জন্য দেওয়া।

মাঠের পারে দূরের দেশ

সময়

এটি কিউবার রাস্তায় তোলা আমার সবচেয়ে প্রিয় ছবি। পার্বত্য শহর ভিনিয়ালেসের এক ক্ষুদে ক্যাফেতে বসে উপত্যকায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা উপভোগ করছি চমৎকার আইসক্রিমের সাথে, রাস্তার ওপর পাড়ে দেখি দাদীমা দাড়িয়ে আছেন, আর বেশ দূরে দেখি ছবির তরুণী হেঁটে আসছে সেদিক পানেই। চকিতেই মনে হল তাদের একসাথে যদি ফ্রেমবন্দী করতে পারি, একটা গল্পময় আলোকচিত্র হতেও পারে। লেন্স তাক করে বসেছিলাম খানিকক্ষণ এই অসাধারণ মুহূর্তটির জন্য।
Post a Comment