0
অ্যাকশন, সাসপেন্স, রোমান্স কিংবা হরর; প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সবধরণের ছবি দিয়েই বিনোদিত করার চেষ্টা করেছে বলিউড। সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ শিশুদেরও বলিউড অবজ্ঞা করেনি। বলিউডে নির্মিত সেরা দশটি শিশুতোষ ছবির তালিকা দেখুন।



মিস্টার ইন্ডিয়া (১৯৮৭)
ছবিটির কাহিনী অনেক মজার। ভয়ঙ্কর ভিলেন, দুষ্টু শিশু এবং অদৃশ্য একজন মানুষ- কী নেই ছবিটিতে। সবমিলিয়ে তাই ছবিটিকে সবচেয়ে জনপ্রিয় শিশুতোষ ছবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ছবিটিতে অভিনয় করেন অনিল কাপুর, শ্রীদেবী, অনেকগুলো দুষ্টু প্রকৃতির শিশু যারা খারাপ লোকটির (ওম পুরি) ওপর  চড়াও হয়।
তারে জামিন পার (২০০৭)
এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু ও তার বেড়ে ওঠার হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক গল্প নিয়ে গড়ে ওঠেছে ছবির কাহিনী। স্নেহমাখা নিজ বাড়ি থেকে শিশুটির বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হওয়া এবং সেখানকার আর্ট শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে তার অক্ষমতা কাটিয়ে ওঠতে শেখা-এক কথায় অসাধারণ। এটা কোনো দুঃখভরা গল্প নয়, তবে এতে এমন কিছু উপাদান আছে যাতে দর্শক একইসঙ্গে কাঁদবে এবং হাসবে। শিশু অভিনেতা দার্শিল সাফারির উঁচু মাপের অভিনয়ের জন্য তাকে বলিউডের সবসময়ের প্রিয় শিশুদের একজন করে রাখবে।
চাচি ফোরটোয়েন্টি (১৯৯৭)
কমেডি ঘরাণার এই ছবিতে মধ্যবয়সী এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন কমল হাসান। যে তার পরিবারের সঙ্গে থাকতে চায়। হলিউডের ‘মিসেস ডাউটফায়ার’ ছবি অবলম্বনে ‘চাচি ফোরটোয়েন্টি’ নির্মাণ করা হয়। বাবার সঙ্গে সন্তানদের যে স্নেহময় সম্পর্ক, তা এ ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কমল হাসানের আকর্ষণীয় অভিনয় ছবিটিকে অনেক চমৎকার ও সুন্দর করে তুলেছে।
আঞ্জেলি (১৯৯০)
মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত দুই বছর বয়সী এক মেয়ের কাহিনী ছবিটি নির্মাণ করেন মনিরত্মম। জন্মের পর থেকেই মায়ের কাছ থেকে সেই দুর্ভাগা মেয়েটিকে আলাদা করে রাখা হয়। শিশুরা যেমন করে জীবনযাপন করে, তাদের দুষ্টুমি, অভিযাত্রা, মজার সব কাহিনী ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
কোই মিল গায়া (২০০৩)
হলিউডের সুপারহিট ছবি ‘ই.টি.’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। ‘ড্যাশিং’ হৃত্বিক রোশন ছবিটিতে অভিনয় করেন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর চরিত্রে। তার শিশুসুলভ আচরণ ও বাইরের জগতের প্রাণী ‘জাদু’র সঙ্গে তার সম্পর্ক মনোযোগ কেড়েছে সবার। সত্যিকারের মজার একটি ছবি।
ভূতনাথ (২০০৮)
যখন কোনো ছবির জন্য অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খানের মতো দুইজন সুপারস্টার জুটি বাঁধেন তখন সেটা যে মজার কিছু হতে যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভূতের সঙ্গে এক ছোট্ট বালকের কাহিনী নিয়ে গড়ে ওঠেছে ‘ভূতনাথ’ ছবিটির কাহিনী। ভূতটি ভয় দেখিয়ে তার বাংলো থেকে একটি পরিবারকে তাড়াতে চায়। এটি হাসিখুশি, স্পর্শকাতর ও মিষ্টি একটি ছবি।
মাই ফ্রেন্ড গনেশা (২০০৭)
একাকী এক বালকের কাহিনী নিয়ে ‘মাই ফ্রেন্ড গনেশা’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। পরে একাকী বালকটির বন্ধু হয় লর্ড গনেশা। শিশুদের মধ্যে ছবিটি অনেক জনপ্রিয়। লর্ড গনেশা শুধু শিশুদের জনপ্রিয় দেবতাই নয় তাদের রোল মডেলও। ছবিটিতে তাই তুলে ধরা হয়েছে।
মাকড়ি (২০০২)
এটা এমন একটা ছবি যেখানে এক ডাইনি আপনাকে এমন উপায়ে অনেক বেশি ভয় পাইয়ে দেবে- যা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। এটা অনেক মজার একটি ছবি।
হনুমান (২০০৫)
অ্যানিম্যাশন নির্ভর এই ছবিতে হনুমানের জন্ম, বেড়ে ওঠা, দেবতা রামের জন্য তার ত্যাগ তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে দেখানো হয়, শিশু বয়সে হনুমান ছিল খুবই দুষ্ট প্রকৃতির। সে তার নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে পুরোহিতদের বিরক্ত করত।
স্ট্যানলে কা ডাব্বা (২০১১)
এই ছবিতে দেখে যে কেউ নিজের স্কুলের দিনগুলিতে ফিরে যাবেন। শেষ বেঞ্চে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা, টিফিন শেয়ার করা, নিষ্ঠুর শিক্ষকদের শাস্তি দিতে একতা বদ্ধ হওয়া; সবই আছে ছবিটিতে। অভিনেতাদের চমৎকার, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া অভিনয় এবং সাধারণ বর্ণনা ছবিটিকে সবসময়ের সেরা জনপ্রিয় শিশুতোষ ছবি হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

YOUR NAMEAbout Me
আসসালামু আলাইকুম। নবীন বাংলা ব্লগ সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আসলে এই ব্লগ সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এবং আমি এই সাইটের এডমিন, মূলত ব্লগিং প্রাকটিস এবং মুক্ত জ্ঞাণ চর্চার জন্যই এই সাইটটি ওপেন করেছি। আমার সাইটের পোস্টগুলো অন্যান্য সুনাম খ্যাত ব্লগ সাইটে সমূহে পাবলিশ করে থাকি তথারুপ টেকটিউন্স, টিউনারপেইজ। ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকব নবীন বাংলা ব্লগে লেখালেখি করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এখানে অন্যান্য লেখকদের বাছাই করা পোস্টগুলো পাবলিশ করা হয়। এবং ইচ্ছা করলে আপনিও এই ব্লগের অতিথি লেখক হিসাবে শুরু করতে পারেন।পরিশেষে আমার সাইট কিংবা প্রকাশিত লেখা সম্পর্কে কোন আপনাদের অভিযোগ, মতামত, পরামর্শ থাকলে তা সাদরে গ্রহন করা হবে। আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সবাইকে!!
Follow : | | Facebook | Twitter

Post a Comment

 
Top