মূল লেখার লিংক
অনেক আগে পাখিবিশেষজ্ঞ প্রকৃতিপ্রেমী ইনাম আল হককে জিজ্ঞাসা করছিলাম, প্রকৃতি রক্ষায় বাঙ্গালীর মত কেয়ারলেস জাতি কি বিশ্বে আর আছে? উনি সাথে সাথেই বলেছিলেন- অনেক আছে, এই থাইল্যান্ডের কথায় ধরেন, সেখানে মানুষের লোভের কাছে, প্রয়োজনের কাছে প্রকৃতি সম্পূর্ণ পরাজিত। ম্যানগ্রোভ বন প্রায় শেষের পথে, কিন্তু আজ যদি বাংলাদেশে বলা হয় সুন্দরবন আস্তে আস্তে কেটে সাফ করে বিশাল চিংড়ীর ঘের তৈরি হবে, কাড়ি কাড়ি টাকা আসবে, দেখবেন বাংলাদেশে নিরীহতম মানুষটিও ফুঁসে উঠবে প্রতিবাদে। বাংলাদেশের লোক কোন সময় সুন্দরবন নষ্ট হতে দিবে না।
ভয়ংকর সুন্দর

ডাঙ্গায় কুমির

বড় মামার উপস্থিতি

জোয়ার ভাটা

বড় কুবো / কানাকুয়ো

সেই আশাতেই বুক বাঁধি, আজ কোন কথা বলছি না সুন্দরবন ধ্বংস করে হাতে নেওয়া কোন আত্মঘাতী প্রজেক্ট নিয়ে, জাহাজভাঙ্গার ঘাট নিয়ে, রামপাল প্রজেক্ট নিয়ে, শুধু আশা করি এই ছবিগুলো দেখে যেন আপনি একবারের জন্যও আপন মনে অস্ফুট কণ্ঠে বলেন- আহ, কী সুন্দর আমাদের সুন্দরবন!
তাহলেই জানব সুন্দরবন একা না টিকে থাকার লড়াইয়ে, আমি আছি, আপনি আছেন, আমরা আছি।
মাডস্কিপার ( একটি মাত্র মাছ যা কিছু গাছে উঠতে পারে !)

পাতি টুনটুনি

খাল

শিকরে

মায়াহরিণ

প্রাণ

বন্ধুত্ব ( অনেক শুনেছি বানর ও হরিণের বন্ধুত্বের কথা, কিন্তু এক ফ্রেমে পেলাম এই প্রথম)

ক্ষুরধার

সংগ্রাম

সৌন্দর্য

খয়রাপাখ মাছরাঙা

কালাটুপি মাছরাঙা

অলৌকিক ভোর

একাকী

শুশুক

টাওয়ার

বৈধ উজাড়

পাতানিদ্রা

বনরক্ষী দাদু

গোলপাতা

এবং ভাটা

অপ্রাপ্তবয়স্ক শিকরে

গর্তের রাজা

বাঘ, সাবধান!

বীজ

তিলা নাগঈগল

রশ্মি

বদর বদর

শ্বাসমূল

স্রোতের বিপরীতে

জীবনের অন্বেষণে

সরলতা

যাত্রা

লীলেন দা তার সাকিন সুন্দরবনে লিখেছিলেন বর্তমানের সুন্দরবনের করুন কাহিনী-
নাচতে নাচতে গাজী সদরুল হাসে- আগে সুন্দরবনের পানিতে ভাসত মরা গাছ। এখন ভাসে পোড়া ডিজেল। ভটভট ভটভট ভটভট… সুন্দরবনের সব নদী এখন ভটভট ভটভট ভটভট। দিন রাত এখন সুন্দরবনে ট্রলার আর জাহাজের মিউজিক বাজে ভটভট। হরিণ পাতা খেতে এসে ট্রলারের শব্দ শুনে দৌড়ায়। বাঘ পানি খেতে এসে জাহাজ দেখে দৌড়ায়। কুমির রোদ পোহাতে ডাঙায় উঠে মানুষ দেখে নদীতে লাফায়। পুরা সুন্দরবনের মালিক এখন ভটভটিওয়ালা পর্যটকরা। বাঘ হরিণ বানর কুমির সবাইকে এখন ভটভটির আওয়াজ থেকে নিজেকে লুকিয়ে খেতে হয়- ঘুমাতে হয় এমনকি সংগমও করতে হয়…
মানুষ

সুন্দরবনে সবচেয়ে বিরক্ত হয়েছি করমজলে যেয়ে, কুমির প্রজনন কেন্দ্র অসভ্য মানুষের ভিড়ে সরগরম, একটা বানর বা পাখি দেখলেই ছুটে যেয়ে যাবতীয় নির্যাতনের চেষ্টা করা ছিল খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার, বিরিয়ানির মৌ মৌ গন্ধ ভরা দূষিত বাতাসে এই নিরীহ বানরটিকে বজ্জাত মানুষদের করা সবচেয়ে সুশীল প্রশ্ন ছিল- এই বান্দর, তোর পুটকি লাল কেন?

কী আশা রাখব আমরা মানুষের কাছে, তাদের আকাশচুম্বী লোভ, পাতালভেদী চাহিদার কাছে? অন্তত নিজেদের কাছে যেন আমরা এতটুকু আশা রাখতে পারি যে সুন্দরবনে সুন্দর আমরা নষ্ট করব না, সেখানে যেয়ে হরিণ মাংসের খোঁজে বন উজাড় করব না, বিরিয়ানি প্যাকেট ফেলে খাল ভরাট করব না।
অনেক আগে পাখিবিশেষজ্ঞ প্রকৃতিপ্রেমী ইনাম আল হককে জিজ্ঞাসা করছিলাম, প্রকৃতি রক্ষায় বাঙ্গালীর মত কেয়ারলেস জাতি কি বিশ্বে আর আছে? উনি সাথে সাথেই বলেছিলেন- অনেক আছে, এই থাইল্যান্ডের কথায় ধরেন, সেখানে মানুষের লোভের কাছে, প্রয়োজনের কাছে প্রকৃতি সম্পূর্ণ পরাজিত। ম্যানগ্রোভ বন প্রায় শেষের পথে, কিন্তু আজ যদি বাংলাদেশে বলা হয় সুন্দরবন আস্তে আস্তে কেটে সাফ করে বিশাল চিংড়ীর ঘের তৈরি হবে, কাড়ি কাড়ি টাকা আসবে, দেখবেন বাংলাদেশে নিরীহতম মানুষটিও ফুঁসে উঠবে প্রতিবাদে। বাংলাদেশের লোক কোন সময় সুন্দরবন নষ্ট হতে দিবে না।
ভয়ংকর সুন্দর

ডাঙ্গায় কুমির

বড় মামার উপস্থিতি

জোয়ার ভাটা

বড় কুবো / কানাকুয়ো

সেই আশাতেই বুক বাঁধি, আজ কোন কথা বলছি না সুন্দরবন ধ্বংস করে হাতে নেওয়া কোন আত্মঘাতী প্রজেক্ট নিয়ে, জাহাজভাঙ্গার ঘাট নিয়ে, রামপাল প্রজেক্ট নিয়ে, শুধু আশা করি এই ছবিগুলো দেখে যেন আপনি একবারের জন্যও আপন মনে অস্ফুট কণ্ঠে বলেন- আহ, কী সুন্দর আমাদের সুন্দরবন!
তাহলেই জানব সুন্দরবন একা না টিকে থাকার লড়াইয়ে, আমি আছি, আপনি আছেন, আমরা আছি।
মাডস্কিপার ( একটি মাত্র মাছ যা কিছু গাছে উঠতে পারে !)

পাতি টুনটুনি

খাল

শিকরে

মায়াহরিণ

প্রাণ

বন্ধুত্ব ( অনেক শুনেছি বানর ও হরিণের বন্ধুত্বের কথা, কিন্তু এক ফ্রেমে পেলাম এই প্রথম)

ক্ষুরধার

সংগ্রাম

সৌন্দর্য

খয়রাপাখ মাছরাঙা

কালাটুপি মাছরাঙা

অলৌকিক ভোর

একাকী

শুশুক

টাওয়ার

বৈধ উজাড়

পাতানিদ্রা

বনরক্ষী দাদু

গোলপাতা

এবং ভাটা

অপ্রাপ্তবয়স্ক শিকরে

গর্তের রাজা

বাঘ, সাবধান!

বীজ

তিলা নাগঈগল

রশ্মি

বদর বদর

শ্বাসমূল

স্রোতের বিপরীতে

জীবনের অন্বেষণে

সরলতা

যাত্রা

লীলেন দা তার সাকিন সুন্দরবনে লিখেছিলেন বর্তমানের সুন্দরবনের করুন কাহিনী-
নাচতে নাচতে গাজী সদরুল হাসে- আগে সুন্দরবনের পানিতে ভাসত মরা গাছ। এখন ভাসে পোড়া ডিজেল। ভটভট ভটভট ভটভট… সুন্দরবনের সব নদী এখন ভটভট ভটভট ভটভট। দিন রাত এখন সুন্দরবনে ট্রলার আর জাহাজের মিউজিক বাজে ভটভট। হরিণ পাতা খেতে এসে ট্রলারের শব্দ শুনে দৌড়ায়। বাঘ পানি খেতে এসে জাহাজ দেখে দৌড়ায়। কুমির রোদ পোহাতে ডাঙায় উঠে মানুষ দেখে নদীতে লাফায়। পুরা সুন্দরবনের মালিক এখন ভটভটিওয়ালা পর্যটকরা। বাঘ হরিণ বানর কুমির সবাইকে এখন ভটভটির আওয়াজ থেকে নিজেকে লুকিয়ে খেতে হয়- ঘুমাতে হয় এমনকি সংগমও করতে হয়…
মানুষ

সুন্দরবনে সবচেয়ে বিরক্ত হয়েছি করমজলে যেয়ে, কুমির প্রজনন কেন্দ্র অসভ্য মানুষের ভিড়ে সরগরম, একটা বানর বা পাখি দেখলেই ছুটে যেয়ে যাবতীয় নির্যাতনের চেষ্টা করা ছিল খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার, বিরিয়ানির মৌ মৌ গন্ধ ভরা দূষিত বাতাসে এই নিরীহ বানরটিকে বজ্জাত মানুষদের করা সবচেয়ে সুশীল প্রশ্ন ছিল- এই বান্দর, তোর পুটকি লাল কেন?

কী আশা রাখব আমরা মানুষের কাছে, তাদের আকাশচুম্বী লোভ, পাতালভেদী চাহিদার কাছে? অন্তত নিজেদের কাছে যেন আমরা এতটুকু আশা রাখতে পারি যে সুন্দরবনে সুন্দর আমরা নষ্ট করব না, সেখানে যেয়ে হরিণ মাংসের খোঁজে বন উজাড় করব না, বিরিয়ানি প্যাকেট ফেলে খাল ভরাট করব না।
Post a Comment