এমআইটির ফেকাল্টি মেম্বার স্কাইলার টিবিট গত বৎসরের এপ্রিলে এই ফোর ডি কনসেপ্ট প্রথমে উদ্ভাবন করেন। তার পরিচালিত টিমটি “স্মার্ট” পদার্থের আবরণ দিয়ে একটি প্লাস্টিককে আবৃত করেন, যা পানিতে স্ব-সজ্জিত হতে পারে। ডুন বলেন – “আমরা এই কনসেপ্টে জটিল সব পদার্থ তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি, যা যেকন সময়ে পদার্থের বিভিন্ন মেকানিজমের মাধ্যমে জটিল সব আকারে পরিণত করতে পারে।” ডুন আরও বলেন- “পলিমার ফাইবার স্মৃতি ব্যবহারের রহস্য হচ্ছে এটিকে যখন খুশি যেকোনো পরিস্থিতি বা ফ্যাক্টর অনুযায়ী জটিল সব আকারে রূপ দেওয়া যায়।”
এই গবেষণা পেপারটির যৌথ কর্তৃপক্ষ কি “কেভিন” জি বলেন- “এর একটি মজার বিষয় হচ্ছে- ডিজাইন করা অবস্থায়ই এই পদ্ধতিতে বস্তুর আকার দেওয়া যায়। যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিল না।” এই গবেষক দলটি নির্ধারণ করে দেন যে, কম্পজিটের ভিতরে অবস্থিত ফাইবার এর অবস্থান ও প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে মুদ্রণযোগ্য বস্তুটির প্রকৃতি বা আকার নির্ভর করবে। যা এর কুঁচকানো, বাঁকানো বা প্রসারিত হওয়াকে প্রভাবিত করে। গবেষকগণ এর প্রভাবকে উঞ্চ ও শীতল দুই অবস্থায়ই পরীক্ষা করে দেখেছেন। “কি” আরও বলেন- “বিগত তিন দশক ধরে চলতে থাকা থ্রি ডি টেকনলজির সাথে এর মূল পার্থক্য হল- এটি সক্রিয় ফাইবারকে কম্পজিট পদার্থে এমনভাবে পরিণত করে যে, একে নিচ্চিতভাবেই তাপীয় ও যান্ত্রিক শক্তি ধারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”
যাই হোক, এই ধরনের উদ্ভাবণ আমাদের বাংলাদেশে তো বটেই, পুরো বিশ্বে একটি যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটাবে। ৪ ডি প্রযুক্তির এই নব কৌশল এখন বিভিন্ন এপ্লিকেশনে ব্যবহারের সম্ভানার ধার খুলে দিয়েছে। তাছাড়া থ্রি ডি প্রযুক্তির সীমাবদ্ধাতকেও এটি দূর করতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে রিভার্সিবল বা টার্নেবল থ্রি ডি পৃষ্ঠতল ও সলিডে (কঠিন পদার্থ) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এর ফলে অটোমোবাইল, বিমান এবং এন্টিনার বিদ্যমান প্রযুক্তিরও উন্নতি ঘটবে। অতএব, স্বাগতম ৪ ডি প্রযুক্তি!
বিগত তিন দশক ধরে চলতে থাকা থ্রি ডি প্রযুক্তি আমাদের দেশে এখনও অনেকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারে নি। তবে সুফলের কথা শুনে আসছিল একের পর এক গবেষণা থেকে। এবার তার সঙ্গে এসে যোগ দিল ফোর ডি প্রযুক্তির উন্নতর ছোঁয়া। সম্প্রতি কলারাডো বৌল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ছাপার প্রযুক্তিতে ৪র্থ মাত্রার সন্নিবেশ ঘটিয়েছে। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহার উপযোগী যৌগিক বস্তু তৈরি বা উৎপাদন, প্যাকিং এবং বায়োমেডিকেল এপ্লিকেশনে সম্ভাবনার দাড় খুলে দিয়েছে।
কলারাডো বৌল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্র প্রকৌশলের অধ্যাপক এইচ জেরি কাই এবং তার সহযোগী সিঙ্গাপুর প্রযুক্তি ও ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্টিন এল এর নেতৃত্বাধীন একদল গবেষক ফোর ডি প্রিন্টিং পদ্ধতি উদ্ভাবন করে পরীক্ষা করেছেন। কলারাডো বৌল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের এক সাবেক অধ্যাপক ফন বলেন- “এই কাজের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত বস্তুটির একটি ত্রিডি আকার নির্মাণ করা হয়। অতঃপর প্রোগ্রামেবল অংশটিকে সময়ের সাপেক্ষে এর একটি ফোর ডি আকার বের করে নিয়ে আসা হয়।”তথ্য সুত্রঃ সায়েন্সটেক২৪
Post a Comment