0

(হরমায়োনী, বায়োস্কোপ, ১৩/০৫/১৫)


আজকে হঠাৎ মনে হলো ব্রিটিশ রাজকন্যাদের নিয়ে লিখি। এদের প্রায় সবাইকে সাহিত্যভিত্তিক কোনো না কোনো ছবিতে দেখতে পাবেন। আসলে ব্রিটিশ সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় অংশ হলো তাদের জগদ্বিখ্যাত সাহিত্য। আর সেসব ছবিতেই তারা বেশি শাইন করেছেন।
নিচের এনাদের অবশ্য রানী বলাটাই উত্তম। কয়েক দশক ধরে ইংরেজি সিনেমার জগত দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তারা, এখনও সেই দাপট অব্যাহত আছে।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ডেম জুডি ডেঞ্চ (১৯৩৪): জেমস বন্ডকে যদি কেউ লাইনে রাখতে পারে, তিনি হলেন জুডি ডেঞ্চের ‘এম’। এক বার জয়সহ মোট ৭ বার অস্কার মনোনয়ন পাওয়া এই শক্তিমান অভিনেত্রীর ১৯৯৮ সালে প্রথম অস্কার নমিনেশন পাওয়া মনে করিয়ে দেয়, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। মোট ১১ বার গোল্ডেন গ্লোব নমিনেশন (২ বার জয়) আর ৩ বার প্রাইমটাইম নমিনেশন থেকে বোঝা যায়, বড় পর্দা ছোট পর্দা দুটোতেই সমান দাপট তার। বন্ড সিরিজ ছাড়াও তিনি নাম কুড়িয়েছেন ‘মিসেস ব্রাউন’, ‘শকোলাট’, ‘শেক্সপিয়ার ইন লাভ’, ‘দ্য বেস্ট এক্সোটিক মেরিগোল্ড হোটেল’, ‘নোটস অন আ স্ক্যান্ডাল’, ‘ফিলোমিনা’, ‘আইরিস’, ‘মিসেস হেন্ডারসন প্রেজেন্টস’ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ডেম ম্যাগি স্মিথ (১৯৩৪): তার নাম শুনলেই চোখে ভাসে হ্যারি পটারের প্রফেসর ম্যাকগোনাগলের কঠিন মুখ। সেই ১৯৬৬ সালে পেয়েছিলেন প্রথম অস্কার নমিনেশন, তারপর ২ বার জিতে মোট ৬ বার নমিনেশন পেয়েছেন তিনি। টেলিভিশনেও তিনি কম যান না, যার প্রমাণ ৮টা প্রাইমটাইম এমি (৩টি জয়)। একই সাথে ১১টি গোল্ডেন গ্লোব নমিনেশনের মধ্যে দুটো জয়ই বলে দেয়- she’s still got it. বেশিরভাগ চরিত্র কঠিন হলেও সবরকম চরিত্রতেই দেখা গেছে তাকে ‘দ্য প্রাইম অভ মিস জিন ব্রোডি’, ‘ওথেলো’, ‘দ্য বেস্ট এক্সোটিক মেরিগোল্ড হোটেল’, ‘গসফোর্ড পার্ক’, ‘ন্যানি ম্যাকফি রিটার্নস’, ‘কোয়ার্টেট’, ‘ক্যালিফোর্নিয়া স্যুইট’ প্রভৃতি ছবিতে।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ডেম হেলেন মিরেন (১৯৪৫): অস্কারটা পেতে একটু দেরিই হয়ে গিয়েছিল তার। ১৯৬৬ সালে ক্যারিয়ার শুরু করা হেলেন প্রথম অস্কারটা হাতে তোলেন ২০০৭ সালে এসে। সব মিলিয়ে মোট ৪টি অস্কার, ১১টি প্রাইমটাইম এমি (৩টি জয়) এবং ১৩টি গোল্ডেন গ্লোব (৩টি জয়) মনোনয়ন পাওয়া এই অভিনেত্রীই হলেন একমাত্র, যিনি রানী প্রথম ও দ্বিতীয়- দুজন এলিজাবেথেরই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রানী ছাড়া আর কী বলা ‘রেড’, ‘দ্য টেম্পেস্ট’, ‘দ্য কুইন’, ‘দ্য হান্ড্রেড-ফুট জার্নি’-র এই অভিনেত্রীকে?
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
জুলি ক্রিস্টি (১৯৪০): আল পাচিনোর মতে হলিউডের সবচেয়ে কাব্যিক এই অভিনেত্রী ১৯৬৫ সালের ‘ডক্টর জিভাগো’ দিয়ে জয় করে নিয়েছিলেন সবার মন। এরপর ১৯৬৬ সালে ‘ডার্লিং’ ছবির জন্য জিতে নেন অস্কার। মোট ৪ বার অস্কার ও ৩ বার গোল্ডেন গ্লোব নমিনি ‘ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড’, ‘অ্যাওয়ে ফ্রম হার’ ও ‘ডোন্ট লুক নাউ’-এর এই অভিনেত্রীকে ইদানীং তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না অবশ্য, তবে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অভ আজকাবান’ ছবিতে ম্যাডাম রোজমার্টা হিসেবে ছোট্ট একটা ক্যামিও দিয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ডেম জুলি অ্যান্ড্রুজ (১৯৩৫): তার হাসিখুশি চেহারা আর মিষ্টি কণ্ঠের সাথে জড়িয়ে আছে লাখো মানুষের শৈশব। মেরি পপিন্স আর মারিয়া ভন ট্র্যাপের জাদুকরী কণ্ঠ এখনও আন্দোলিত করে সবাইকে। ‘মেরি পপিন্স’ ছবির জন্য অস্কার জয়ী জুলি শিশুতোষ ছবি করতেই বেশি পছন্দ করেন, যা তার ছবির তালিকায় ‘দ্য প্রিন্সেস ডায়েরিজ’, ‘টুথ ফেইরি’, ‘ডেসপিকেবল মি’ প্রভৃতি ছবির উপস্থিতি দেখলেই বোঝা যায়।
এবার আসা যাক ডাচেস আর রাজকন্যাদের দিকে। তাদের প্রতিভাই বলে দেয়, ইংল্যান্ডের অভিনয় ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ইমেলদা স্টন্টন (১৯৫৬): পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণিত ভিলেনদের তালিকায় নাম উঠে গেছে ইমেলদা অভিনীত প্রফেসর আমব্রিজের। কিন্তু কজন জানেন, তার ঝুলিতে যে একটা অস্কার নমিনেশন আছে? ২০০৫ সালে ‘ভেরা ড্রেক’ ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করে মনোনয়ন পান তিনি। হ্যারি পটার ছাড়াও তাকে দেখা গেছে ‘ন্যানি ম্যাকফি’, ‘শেক্সপিয়ার ইন লাভ’ ও ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি’ ছবিতে।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
টিল্ডা সুইন্টন (১৯৬০):  কম ছবি করেছেন, ‘নারনিয়া’ বাদে ব্লকবাস্টারও তেমন নেই হাতে। কিন্তু নানা ইন্ডি মুভিতে নিজের জাত চিনিয়েছেন টিল্ডা। জর্জ ক্লুনির বিপরীতে ‘মাইকেল ক্লেটন’ ছবির জন্য ২০০৮ সালে অস্কার পাওয়া টিল্ডাকে প্রায়ই দেখা যায় অস্বাভাবিক সব চরিত্রে। অবশ্য ঠাণ্ডা লুকের টিল্ডার চেয়ে ভাল আর কে করতে পারত নারনিয়ার ‘আইস কুইন’ চরিত্রটা? তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আরও আছে ‘অরল্যান্ডো’, ‘ওনলি লাভারস লেফট অ্যালাইভ’, ‘স্নোপিয়ার্সার’।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
এমা টমসন (১৯৫৯): অলরাউন্ড জিনিয়াস বলতে যাকে বোঝায়, এমা ঠিক তাই। অস্কার জিতেছেন দুইবার- একবার অভিনয়ের ক্যাটাগরিতে, আরেকবার চিত্রনাট্য লিখে। অসাধারণ রসবোধের অধিকারী এমা সাহিত্যভিত্তিক ছবি বেশি করেছেন। জেন অস্টেনের উপন্যাসের চিত্রনাট্যে নিজের ছোঁয়া ফেলে অস্টেনভক্তদের সুনজরে পড়াটা চাট্টিখানি কথা না, জিনিয়াস না বলে পারা যায়? হ্যারি পটারে প্রফেসর ট্রিলনি চরিত্রে অভিনয় করা এমার উল্লেখযোগ্য আরও কিছু ছবি হলো ‘হাওয়ার্ডস এন্ড’, ‘দ্য রিমেইনস অভ দ্য ডে’, ‘ন্যানি ম্যাকফি’, ‘লাস্ট চান্স হার্ভি’, ‘স্ট্রেঞ্জার দেন ফিকশন’ ও ‘সেভিং মি. ব্যাঙ্কস’।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
হেলেনা বোনহ্যাম কার্টার (১৯৬৬): অদ্ভুত সব চরিত্র আর অদ্ভুত ফ্যাশন সেন্সের জন্য বিখ্যাত হেলেনা অভিনয় করেছেন প্রাক্তন সঙ্গী টিম বার্টনের অনেকগুলো ছবিতে। তবে অভিনয়েও কম যান না আমাদের বেলাট্রিক্স লেস্ট্রেঞ্জ। তার প্রমাণ হলো দুটো অস্কার নমিনেশন, যার একটি এসেছে ‘দ্য কিংস স্পিচ’ ছবির জন্য। ‘ফাইট ক্লাব’, ‘দ্য উইংস অফ দ্য ডাভ’, ‘আ রুম উইথ আ ভিউ’, ‘সুইনি টড’, ‘মেরি শেলি’স ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’, ‘বিগ ফিশ’, ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’, ‘চার্লি অ্যান্ড দি চকোলেট ফ্যাক্টরি’ প্রভৃতি ছবিতেও নজর কেড়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
কেট উইন্সলেট (১৯৭৫):  বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো ইংরেজি ছবি না দেখুক, ‘টাইটানিক’ দেখেছে। টাইটানিকখ্যাত কেট ১৯৯৬ সালে এমা টমসনের সাথে ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি’ ছবিতে অভিনয় করে প্রথম অস্কারযাত্রা শুরু করেন। এরপর একের পর এক রেকর্ড করতে থাকেন সবচেয়ে কম বয়সে দুটি, তিনটি, চারটি, পাঁচটি, ছয়টি অস্কার নমিনেশনের। অবশেষে ২০০৯ সালে ‘দ্য রিডার’ ছবির জন্য অস্কারটা হাতে আসে ‘হেভেনলি ক্রিচারস’, ‘লিটল চিলড্রেন’, ‘ইটারনাল সানশাইন অভ দ্য স্পটলেস মাইন্ড’, ‘আইরিস’, ‘জুড’, ‘হ্যামলেট’ প্রভৃতি ছবি করে বিখ্যাত এই সুঅভিনেত্রীর।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
নাওমি ওয়াটস (১৯৬৯): ক্যারিয়ারের শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর ব্রেকথ্রু আসে ডেভিড লিঞ্চের বিখ্যাত ‘মুলহল্যান্ড ড্রাইভ’ ছবিতে। অপূর্ব সৌন্দর্যের সাথে অভিনয়েও যে তিনি কম যান না, তা দেখিয়ে দিয়েছেন দুইবার অস্কার নমিনেশন পেয়ে। তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘২১ গ্রামস’, ‘কিং কং’, ‘দ্য পেইন্টেড ভেইল’, ‘দ্য রিং’, ‘দ্য ইম্পসিবল’ (এটার জন্য তার অস্কার জেতা উচিত ছিল) ও সাম্প্রতিককালের ‘বার্ডম্যান’।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
রেচেল ভাইস (১৯৭০): রিয়াল লাইফ বন্ডগার্ল রেচেলের মিষ্টি চেহারার সাথে অনেকেরই প্রথম পরিচয় ‘দ্য মামি’ ছবিতে। ২০০৬ সালে ‘দ্য কনস্ট্যান্ট গার্ডেনার’ ছবির জন্য অস্কার পান তিনি। উল্লেখ করার মত বেশি ছবি নেই তার ভাণ্ডারে, কিন্তু ‘দ্য ফাউন্টেন’, ‘আগোরা’, ‘দ্য ডীপ ব্লু সী’- এসবই প্রমাণ তার অভিনয়প্রতিভার।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ক্যাথেরিন জিটা-জোন্স (১৯৬৯): এনাকে অবশ্য ঠিক ইংলিশ বলা যায় না। ওয়েলশ এই অভিনেত্রী ‘শিকাগো’ দিয়ে অস্কার জেতার আগে ‘দ্য মাস্ক অভ জরো’ দিয়ে জয় করেছেন মানুষের হৃদয়। এরপর তাকে দেখা গেছে ‘দ্য টার্মিনাল’, ‘ওশান’স টুয়েলভ’-এর মত মেইনস্ট্রিম হলিউড মুভিতে। ‘ডক্টর হু’-তে ডক্টরকে ফিমেল বানানোর চিন্তা একবার করা হয়েছিল, তখন প্রথম চয়েস ছিলেন তিনি। মাইকেল ডাগলাসের সাথে সংসার নিয়ে ব্যস্ত হওয়ায় ইদানিং তাকে বড় পর্দায় তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
স্যালি হকিন্স (১৯৭৬): হলিউডপাড়ায় বিচরণ কম বলে ২০০৯ সালে গোল্ডেন গ্লোব জেতার পরও তেমন পরিচিতি আসেনি স্যালির। তবে উডি অ্যালেনের নজর ঠিকই কেড়েছিলেন তিনি। যার ফলে অ্যালেনের ২০০৭ সালের ‘ক্যাসান্ড্রা’স ড্রিম’ ও পরে ২০১৩ সালের ‘ব্লু জেসমিন’ ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছিল। ‘ব্লু জেসমিন’-এ কেট ব্লনশেটের উড়নচন্ডী বোন জিঞ্জারের চরিত্র করে অ্যাক্ট্রেস ইন আ সাপোর্টিং রোলে ২০১৪ সালে অস্কার নমিনেশন পান তিনি। এছাড়াও তাকে দেখা গেছে ‘গডজিলা’, ‘নেভার লেট মি গো’, ‘মেইড ইন ডাজেনহ্যাম’ ও ‘প্যাডিংটন’ ছবিতে।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
সিয়েনা মিলার (১৯৮১): হলিউডে তার বিচরণ সামান্যই। কিন্তু ‘স্টারডাস্ট’, ‘ক্যাসানোভা’ আর গত বছরের ‘অ্যামেরিকান স্নাইপার’ প্রমাণ করে তার স্টার পাওয়ারের। হিচককের ‘দ্য বার্ডস’ ছবির ব্যাকস্টোরি অবলম্বনে টেলিফিল্ম ‘দ্য গার্ল’ করে গোল্ডেন গ্লোব নমিনেশন পাওয়া সিয়েনার অভিনয়ক্ষমতার অপচয় হয়েছে ‘ফক্সক্যাচার’-এ, মাত্র কয়েক মিনিটের স্ক্রিনটাইমের কারণে। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘লেয়ার কেক’ ও ‘জি. আই জো: দ্য রাইজ অফ কোবরা’।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
কিরা নাইটলি (১৯৮৫): বর্তমানে হলিউডে ব্রিটিশ ইনভেশনের সম্ভবত সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তিনি। ‘পাইরেটস অভ দি ক্যারিবিয়ান’ দিয়ে পরিচিত হয়ে ওঠা এই অভিনেত্রী ২০০৬ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ করে প্রথম অস্কার নমিনেশন পান। এর সাথে পরবর্তীতে’অ্যাটোনমেন্ট’ আর ‘আনা কারেনিনা’ দিয়ে সাহিত্যভিত্তিক ছবির পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন পরিচালক জো রাইটের মিউজ কিরা নাইটলি। তবে আধুনিক প্রেক্ষাপটের ছবিতেও কম যান না তিনি, যার প্রমাণ ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম’, ‘লাস্ট নাইট’, ‘বিগেন অ্যাগেইন’ ও ‘ল্যাগিস’-এর মত ছবিগুলো। ‘দ্য ইমিটেশন গেম’ ছবির জন্য এ বছর আবারও অস্কার নমিনেশন আসে তার ঘরে। ‘বিগেন অ্যাগেইন’ ও ‘দ্য এজ অভ লাভ’ ছবিতে চমৎকার গানও গেয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
রোজামন্ড পাইক (১৯৭৯): ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল বন্ডগার্ল হিসেবে। তারপর ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’, ‘ফ্র্যাকচার’, ‘জনি ইংলিশ রিবর্ন’, ‘র‍্যাথ অভ দ্য টাইটানস’ আর ‘জ্যাক রিচার’-এর মত অনেক ছবি পকেটে ভরলেও ব্যাপক পরিচিতি আসেনি। গত বছরের ‘গন গার্ল’ ছবি তাকে এনে দেয় প্রাপ্য পরিচিতি। বেন অ্যাফ্লেককে একেবারে পিষে ফেলে সারাজীবন এলিগেন্ট নারীর চরিত্র করে আসা রোজামন্ড এ বছর পান প্রথম অস্কার নমিনেশনের দেখা।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
এমিলি ব্লান্ট (১৯৮৩): বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। গত বছরে মুক্তি পাওয়া তার ‘এজ অফ টুমরো’ আর ‘ইনটু দ্য উডস’ দুটো ছবিই বক্স অফিস আর সমালোচকদের থামস আপ পায়। ‘ইনটু দ্য উডস’-এ তার সুমধুর কণ্ঠেরও পরিচয় পেয়েছে দর্শক। পাঁচবারের গোল্ডেন গ্লোব নমিনি ও একবার জয়ী ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা’ , ‘দ্য ইয়াং ভিক্টোরিয়া’, ‘গালিভারস ট্রাভেলস’ ও ‘লুপার’খ্যাত এই সুঅভিনেত্রীর কপালে অবশ্য অস্কার নমিনেশন এখনও জোটেনি, যেটা এই বছরের ক্রাইম ড্রামা ‘সিকারিও’ দিয়ে কাটতেও পারে।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ক্যারি মুলিগান (১৯৮৫): ক্যারিয়ারের শুরু হয়েছিল কিরা নাইটলি, রোজামন্ড পাইক আর জুডি ডেঞ্চের সাথে ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ ছবিতে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘অ্যান এডুকেশন’ ছবির জন্য ২০১০ সালে অস্কার নমিনেশন পান তিনি। এরপর ‘নেভার লেট মি গো’, ‘ড্রাইভ’, ‘শেম’, ‘ওয়াল স্ট্রিট: মানি নেভার স্লিপস’, ‘ইনসাইড ল্যুইন ডেভিস’ ও ‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবি’র মত ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদের।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ফেলিসিটি জোন্স (১৯৮৩):  ‘লাইক ক্রেজি’ ও ‘ব্রিদ ইন’-এর মত ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি করে বেশি পরিচিত ফেলিসিটি সানড্যান্স ফেস্টিভাল মাতালেও পরিচিতি আসতে তার অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। ‘দি অ্যামেইজিং স্পাইডারম্যান টু’তে ছোট্ট চরিত্র থাকলেও ‘দ্য থিওরি অভ এভরিথিং’ ছবিতে এডি রেডমেইনের বিপরীতে জেইন হকিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করে অসম্ভব কিউট চেহারার এই অভিনেত্রী বাগিয়েছেন অস্কার নমিনেশন। এছাড়াও তাকে দেখা গেছে ‘শ্যালেট গার্ল’, ‘দ্য টেম্পেস্ট’, ‘ট্রু স্টোরি’ ছবিতে। আগামীতে স্টার ওয়ার্সের স্পিন-অফ ‘রৌগ ওয়ান’ এবং ‘ইনফার্নো’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
হেইলি অ্যাটওয়েল (১৯৮২): ”দ্য পিলারস অভ দি আর্থ’ মিনি সিরিজ দিয়ে গোল্ডেন গ্লোব নমিনেশন পাওয়া এই অভিনেত্রী বেশি পরিচিত পেগি কার্টার হিসেবে। বড় পর্দায় অন্যান্য ছবিতে বিচরণ কম হলেও এই বছর তিনি পেয়ে গেছেন নিজের টিভি শো ‘এজেন্ট কার্টার’। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে ‘ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’ ছবির পর থেকেই নিয়মিত বিচরণ তার। এছাড়া ‘সিন্ডারেলা’, ‘দ্য ডাচেস’ প্রভৃতি ছবিতেও দেখা গেছে তাকে।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
জেমা আর্টারটন (১৯৮৬): মুভি চয়েস দিয়ে ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বছরেই পেয়েছিলেন বন্ডগার্ল হওয়ার সুযোগ। কিন্তু ‘কোয়ান্টাম অফ সোলেস’-এর পর খুব কমই উল্লেখযোগ্য ছবি উপহার দিতে পেরেছেন তিনি। ‘প্রিন্স অফ পার্সিয়া: দ্য স্যান্ডস অফ টাইম’ আর ‘হ্যানসেল অ্যান্ড গ্রেটেল: উইচ হান্টারস’-এর মত বক্স অফিস সফল ছবি করলেও ভালো ছবির সংখ্যা অল্প এই চমৎকার অভিনেত্রীর, যার মধ্যে রয়েছে ‘দ্য ভয়েস’, ‘তামারা ড্রু’, ‘বাইজেন্টিয়াম’, ‘পাইরেট রেডিও’, ‘রকএনরোলা’ প্রভৃতি।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
কেট বেকিনসেল (১৯৭৩): মুভি চয়েস দিয়ে ক্যারিয়ারের বারোটা বাজানো আরেক অভিনেত্রী তিনি। ‘পার্ল হারবার’ আর ‘দি এভিয়েটর’ দিয়ে ব্রেকথ্রু পাওয়া কেট বেশি পরিচিত ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’ সিরিজের জন্য। তার উল্লেখযোগ্য ভাল মুভির মধ্যে আছে ‘মাচ অ্যাডু অ্যাবাউট নাথিং (জস হুইডনেরটা না)’, ‘নাথিং বাট দ্য ট্রুথ’ ও  ‘স্টোনহার্স্ট অ্যাসাইলাম’।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
ক্যারেন গিলান (১৯৮৭): স্কটিশ এই অভিনেত্রীকে ‘ডক্টর হু’ ভক্তরা একনামে চেনেন এমি পন্ড হিসেবে। ‘ডক্টর হু’ থেকে বিদায় নেওয়ার পর হলিউডে সদর্প বিচরণ শুরু হয়েছে তার, যা ‘গার্ডিয়ানস অফ দি গ্যালাক্সি’ ছবিতে জোয়ি সালডানা ও লী পেসকে ছাড়িয়ে যাওয়া ভিলেন চরিত্র নেবুলা থেকেই বোঝা যায়। তার আপকামিং লিস্টে রয়েছে স্টিভ ক্যারেল, ক্রিশ্চিয়ান বেল, ব্র্যাড পিট ও রায়ান গসলিংয়ের সাথে ছবি ‘দ্য বিগ শর্ট’ এবং জন ট্রাভোল্টা ও ইথান হকের সাথে ‘ইন আ ভ্যালি অভ ভায়োলেন্স’। এবিসি নেটওয়ার্কে ‘সেলফি’ নামে নিজের একটা সিটকমও করেছিলেন ‘স্টার ট্রেক’খ্যাত জন চো-র সাথে।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
এমিলিয়া ক্লার্ক (১৯৮৬): এনাকে রাজকন্যা বলা যায় না, বলতে হবে খালিসী। ‘গেম অভ থ্রোনস’ খ্যাত প্রাইমটাইম এমি নমিনি এমিলিয়া এখন বড় পর্দাতেও পা ফেলছেন। এ বছর মুক্তি পাচ্ছে তার ‘টার্মিনেটর: জেনেসিস’।
ব্রিটিশ রাজকন্যারা
এমা ওয়াটসন (১৯৯০): এমাকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ‘হ্যারি পটার’ পর্ব শেষে এমা রোল চয়েসে খুবই সতর্ক পা ফেলেছেন। একের পর এক প্রধান চরিত্র না করে তিনি বেছে নিয়েছেন ‘দ্য ব্লিং রিং’, ‘দিস ইজ দি এন্ড’, ‘দ্য পার্কস অফ বিয়িং আ ওয়ালফ্লাওয়ার’-এর মত ছবির পার্শ্বচরিত্র (অবশ্য শেষেরটায় তার চরিত্রকে প্রধানও বলা যায়)। ২০১৭ সালে ডিজনির ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’ ছবির মাধ্যমে লাখো মানুষের ছোটবেলার রূপকথাকে পর্দায় আনছেন এই প্রজন্মের আইডল এই অভিনেত্রী ও নারী অধিকারকর্মী।

YOUR NAMEAbout Me
আসসালামু আলাইকুম। নবীন বাংলা ব্লগ সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আসলে এই ব্লগ সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এবং আমি এই সাইটের এডমিন, মূলত ব্লগিং প্রাকটিস এবং মুক্ত জ্ঞাণ চর্চার জন্যই এই সাইটটি ওপেন করেছি। আমার সাইটের পোস্টগুলো অন্যান্য সুনাম খ্যাত ব্লগ সাইটে সমূহে পাবলিশ করে থাকি তথারুপ টেকটিউন্স, টিউনারপেইজ। ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকব নবীন বাংলা ব্লগে লেখালেখি করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এখানে অন্যান্য লেখকদের বাছাই করা পোস্টগুলো পাবলিশ করা হয়। এবং ইচ্ছা করলে আপনিও এই ব্লগের অতিথি লেখক হিসাবে শুরু করতে পারেন।পরিশেষে আমার সাইট কিংবা প্রকাশিত লেখা সম্পর্কে কোন আপনাদের অভিযোগ, মতামত, পরামর্শ থাকলে তা সাদরে গ্রহন করা হবে। আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সবাইকে!!
Follow : | | Facebook | Twitter

Post a Comment

 
Top