0
বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে সৌন্দর্য্। এর কোনটি মনুষ্য সৃষ্ট, কোনটি প্রাকৃতিক। কখনো অপরূপ এই সৌন্দর্য ধর‍া পড়ে ঠিক আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায়ম আবার কখনো দূর দূরান্তে; এক দেশ থেকে অন্য দেশে। এমনই কিছু ইট-পাথর ও কংক্রিটের রঙিন শহরের খবর বাংলানিউজের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:
ব্রুনো, ভেনিস, ইতালি



ইতালির এই দ্বীপ শহরটি মূলত কারুকার্যের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু শহরের রঙিন বাড়িগুলো নিয়ে রহস্য ও রূপকথার শেষ নেই। রঙ-বেরঙের আলপনার বাড়ি, গা ঘেষে চলে গেছে নদী। সেই নদীর পানিতে প্রতিফলিত হয়েছে বাহারি রঙ। যেন পানির নিচটা রঙ করা। গোধূলি বেলায় এর সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়। চোখে না দেখলে মনে হবে কোন শিল্পী হয়ত রঙ তুলির আঁচড়ে পুরো শহরটি এঁকে রেখেছেন।
চেফচুকান, মরক্কো:
02
নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে ইহুদি শরণার্থীরা ১৯৩০ সালের দিকে মরক্কোর এই পাহাড় ঘেরা শহরে আশ্রয় নেয়। তখন তারাই ছবিতে শহরটিকে সবুজ রঙে চিত্রায়িত করেন। শরাণার্থীদের সেই পেইন্ট বজায় রেখে এখন শহরটি সেজেছে নীল রঙ ও সাদার মিশেলে।
আর্কোস ডে লা ফ্রন্টেরা, স্পেন
03
দূর থেকে এই অঞ্চলের বাড়িঘরগুলো দেখলে মনে হতে পারে পাহাড়ের উপর হয়ত তুষার পড়েছে। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে প্রায় সব বাড়ির দেয়াল সাদা রঙে আঁকা। যেন দূরের আকাশের সাদায় মিশে গেছে বাড়িগুলোর রঙ।
যোদপুর, ভারত
04
এবার বেশি দূরে নয়, আমাদের প্রতিবেশী ভারতের যোধপুর শহরে ভবনগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন। বিশাল এক এলাকার বাড়িঘরগুলো নীল রঙে ঢাকা। এজন্য এটিকে ভারতের নীল শহর (ব্লু  সিটি) বলা হয়। বর্তমান ভারতে যে এখনো বর্ণপ্রথা রয়েছে তারই প্রতীক বহন করে এই বাড়িগুলো।
সেন্ট জনস, নিউ ফাউন্ডল্যান্ড, কানাডা
05
প্রায়ই একই নকশায় তৈরি করা এই বাড়িগুলো দেখতে হলে যেতে হবে কানাডার নিউফাউন্ড ল্যান্ডে।
জুজকার, স্পেন
06
দক্ষিণ স্পেনের এই ছোট্ট শহরটি ২০১১ সালের ‘স্মার্ফস’ চলচ্চিত্র তৈরির জন্য নীল রঙ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর রঙের প্রভাব পড়ে পর্যটনে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে একলাফে পর্যটক তিনশ’ থেকে আশি হাজারে উঠে যায়। তাই বাসিন্দাদের অনুরোধের মুখে আর শহরটিকে আর পুরোনো চেহারায় ফিরিয়ে নেননি নগরবিদরা।
লংইয়ারবাইন, নরওয়ে
07
নরওয়ের মেরু অঞ্চলের এই শহরটি বেশ কৌতূহলময়। এখানে এতো ঠাণ্ডা পড়ে যে লাশও নরম হয়না। তাই বলা হয়ে থাকে, এখানে মারা যাওয়া নিষেধ। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে তাকে নরওয়ের অন্য শহরে ফেলে রাখা হয়। আর কেউ যদি মারাই যায় তাহলে তাকে কেউই কবর দেয়না। বলা হয়ে থাকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে, শহরটির বাসিন্দারা কাষ্ঠনির্মিত এই রঙিন বাড়িগুলোতে থাকে।
ব্রাইটন বিচ, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
082
মেলবোর্নের সমুদ্রের পাশে এই এলাকাটি বিখ্যাত রঙিন গোসল করার বাক্স রয়েছে। এখানে এমন ১ হাজার আটশ ৬০টি বাক্স রয়েছে। সমুদ্রে সৈকতের চেয়ে এই রঙিন বাক্সগুলোই পর্যটকদের নজরে পড়ে বেশি।
মেন্টন, ফ্রান্স
092
ফেঞ্চ রিভেরিয়া নামে পরিচিত ভূমধ্যসাগরীয় এই শহরটির রঙ দেখে আর কি বা বলার থাকতে পারে!
রোকলো, পোলান্ড
10
নরওয়ের এই এলাকাটির নাম ‍হয়তো আপনার কাছে অপরিচিত লাগছে। গথিক স্থাপত্যে শৈলিতে তৈরি এটি পোলান্ডের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। তাছাড়া এটি পুরো ইউরোপের অন্যতম বড় মার্কেটও বটে।
গামলা স্টান, স্টকহোম, সুইডেন
112
স্টকহোমের পুরোনো এই শহরটি পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়।
বু-কাপ, কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা
122
কেপ টাউনের উপশহর এটি। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে যেসব দাস ছাড়া পায় তারা একসময় এখানে বাস করা শুরু করে।
ভালপারাইজো, চিলি
1320
চিলির এই বন্দরনগরীর সবখানেই রঙের ছোয়া
নাইহাভন, কোপেনহেগেন
142
সতের ও আঠার শতকের হ্রদের কোলঘেষে গড়ে ওঠা এই বাড়িগুলো অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র।
সিনেক টেরে, ইতালি
52
ছবিটি দেখে মনে হতে পারে কোন এটি কোন ওয়ালপেপার, আসলে এটি ইতালির রিও ম্যাগিওরে শহর এটি।
সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
162
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিকোর শহর এটি।

YOUR NAMEAbout Me
আসসালামু আলাইকুম। নবীন বাংলা ব্লগ সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আসলে এই ব্লগ সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এবং আমি এই সাইটের এডমিন, মূলত ব্লগিং প্রাকটিস এবং মুক্ত জ্ঞাণ চর্চার জন্যই এই সাইটটি ওপেন করেছি। আমার সাইটের পোস্টগুলো অন্যান্য সুনাম খ্যাত ব্লগ সাইটে সমূহে পাবলিশ করে থাকি তথারুপ টেকটিউন্স, টিউনারপেইজ। ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকব নবীন বাংলা ব্লগে লেখালেখি করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এখানে অন্যান্য লেখকদের বাছাই করা পোস্টগুলো পাবলিশ করা হয়। এবং ইচ্ছা করলে আপনিও এই ব্লগের অতিথি লেখক হিসাবে শুরু করতে পারেন।পরিশেষে আমার সাইট কিংবা প্রকাশিত লেখা সম্পর্কে কোন আপনাদের অভিযোগ, মতামত, পরামর্শ থাকলে তা সাদরে গ্রহন করা হবে। আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সবাইকে!!
Follow : | | Facebook | Twitter

Post a Comment

 
Top