শচীন টেন্ডুলকার। একটি ইতিহাস। ক্রিকেটের গর্ব, ক্রিকেটারদের গর্ব, ক্রিকেট বিশ্বের গর্ব। কোনো প্রশংসা বা উপাধিই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে ওঠে না। ক্রিকেট বিশ্বকে তিনি এতো বেশি উপহার দিয়েছেন যে, এখন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ বা ‘ক্রিকেটের বরপুত্র’র মতো উপাধিগুলোও তার নামের পাশে তুচ্ছ মনে হয়।
বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নামছেন এই মাস্টার ব্লাস্টার। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো যেমন তার শেষ টেস্ট ম্যাচ শুরুর কাউন্টডাউন শুরু করেছে, তেমনি পুরো বিশ্বই তাকিয়ে আছে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দিকে, কখন শেষ বারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে ‘ক্রিকেট জাদুকর’কে!
শচীনকে ভারতীয় ক্রিকেট, এমনকি বিশ্ব ক্রিকেট অনুভব করবে কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একজন ‘শচীন’ যে ক্রিকেট বিশ্বে আর আসবেন না, এটা সবাই স্বীকার করে নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া টেস্ট ম্যাচটির মধ্য দিয়েই ইতি ঘটছে অনেক আবেগ, অনেক শ্রদ্ধা, অনেক ভালোবাসা, অনেক স্নেহ, অনেক প্রীতি, অনেক সাফল্যের একটি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের, একটি ইতিহাসের!
এই টেস্ট ম্যাচ শেষে শচীনের কান্না দেখে কোনো ক্রিকেটপ্রেমী আবেগ ধরে রাখতে পারবেন না বলেই এখনকার আবেগ প্রকাশে স্পষ্ট হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো শচীনের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ফ্রেমবন্দি সোনালী মুহূর্তগুলো প্রকাশ করছে। ক্রিকেট গ্রেটের আলোয় আলোকিত সেই সেরা মুহূর্তগুলো সংগ্রহ করে উপস্থাপন করছে বাংলানিউজ।

১৯৮৮ সালে একটি আন্তঃস্কুল ক্রিকেট ম্যাচে ৬৬৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ার সময় রান নিচ্ছেন শচীন ও বিনোদ কাম্বলি।

১৯৯০ সালের আগস্টে ১৭ বছর ৩ মাস ১৭ দিন বয়সে ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ডের ম্যানেচেস্টারে অপরাজিত ১১৯ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন শচীন।

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে একটি ম্যাচে ড্রেসিংরুমে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম দুই তারকা রাহুল দ্রাবিড় (বামে) ও সৌরভ গাঙ্গুলীর (ডানে) সঙ্গে আড্ডার মধ্যমণি শচীন।

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডন ব্রাডম্যানকে। সেই ব্রাডম্যানই শচীনকে তার মতো খেলে বলে স্বীকৃতি দেন। শচীনকে ব্যাটে অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় ব্রাডম্যানসহ ‘দুই ভিনগ্রহের ক্রিকেটার’কে ফ্রেমবন্দি করে ফেলেন সৌভাগ্যবান আলোকচিত্রী।

ক্রিকেটের সেরারাও শচীনকে ‘সেরা’ বলতে বাধ্য হয়েছেন তার প্রতিভা ও অবদানের কারণেই। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিভা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারাও স্বীকার করেন, শচীন বিস্ময়কর প্রতিভা। আমি শচীনের তুলনায় কিছুই না। শচীনের ওপর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকেই কিনা তার প্রতিকৃতির পাশে পোজ দিয়ে নিজেকে ইতিহাসের স্বাক্ষী করতে চাইছেন লারা।

ব্যক্তিগতভাবে রেকর্ড ও অর্জনের এতো উচ্চতায় শচীন পৌঁছে গিয়েছিলেন, খোদ শচীনের সমালোচকরাও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন তার আর অর্জনের বাকি কিছু নেই। তবু শচীন ২৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আশা করতেন, তিনি দলে থাকা অবস্থায় যেন ভারত বিশ্বকাপ জেতে। সৃষ্টিকর্তা শচীনের সেই মনোবাসনাও অপূর্ণ রাখার ‘সাহস’ করলেন না। ২০১১ সালে নিজের কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপও হাতে পেলেন শচীন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে নতুন নতুন মাইলফলক ছোঁয়ার পর এভাবে কতবার ভক্ত ও দর্শকদের উদ্দেশে ব্যাট উঁচু করে অভিনন্দনের জবাব দিয়েছেন তা হিসেব কষতে হবে। তবে, ২০১২ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একশতম বারের মতো ১০০ করে যে ব্যাট উঁচিয়েছেন সেই মুগ্ধতায় শতো বছর বিভোর থাকবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের এতোসব অর্জনের জন্য স্ত্রী অঞ্জলিই অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন বলে জানান শচীন। সৌভাগ্যের প্রতীক অঞ্জলিকে ১৯৯৫ সালে নিজের ঘরে ওঠানোর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়।

ক্রিকেটে বিস্ময়কর সাফল্য এনে দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অবদান স্বরূপ শচীনকে ২০১০ সালে ‘গ্রুপ ক্যাপ্টেন’ পদ মর্যাদায় ভূষিত করে দেশটির বিমান বাহিনী।

২০১২ সালে রাজনীতিতেও যোগ দেন ক্রিকেটে ‘সম্পূর্ণ’ সফল শচীন। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর ভাষণ দিচ্ছেন তিনি।

এই পতাকার জন্যই না সমালোচকদের তীব্র খোঁচা ও অপমান সহ্য করে ২৪ বছর ক্রিকেট খেলে গেছেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’।

বাবার মতো শৈশব থেকেই ক্রিকেটে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন অর্জুন টেন্ডুলকার। শচীন বলছেন, অবসরের পর ছেলেকে ক্রিকেটের প্রতি আরও অনুপ্রাণিত ও উৎসর্গী হতে প্রেরণা দেবেন তিনি। প্র্যাকটিসের সময় ছেলেসহ শচীনকে এমন প্রাণোচ্ছল ভঙ্গিতেই ক্যামেরাবন্দি করেন আলোকচিত্রী।
বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নামছেন এই মাস্টার ব্লাস্টার। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো যেমন তার শেষ টেস্ট ম্যাচ শুরুর কাউন্টডাউন শুরু করেছে, তেমনি পুরো বিশ্বই তাকিয়ে আছে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দিকে, কখন শেষ বারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে ‘ক্রিকেট জাদুকর’কে!
শচীনকে ভারতীয় ক্রিকেট, এমনকি বিশ্ব ক্রিকেট অনুভব করবে কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও একজন ‘শচীন’ যে ক্রিকেট বিশ্বে আর আসবেন না, এটা সবাই স্বীকার করে নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া টেস্ট ম্যাচটির মধ্য দিয়েই ইতি ঘটছে অনেক আবেগ, অনেক শ্রদ্ধা, অনেক ভালোবাসা, অনেক স্নেহ, অনেক প্রীতি, অনেক সাফল্যের একটি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের, একটি ইতিহাসের!
এই টেস্ট ম্যাচ শেষে শচীনের কান্না দেখে কোনো ক্রিকেটপ্রেমী আবেগ ধরে রাখতে পারবেন না বলেই এখনকার আবেগ প্রকাশে স্পষ্ট হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো শচীনের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ফ্রেমবন্দি সোনালী মুহূর্তগুলো প্রকাশ করছে। ক্রিকেট গ্রেটের আলোয় আলোকিত সেই সেরা মুহূর্তগুলো সংগ্রহ করে উপস্থাপন করছে বাংলানিউজ।

১৯৮৮ সালে একটি আন্তঃস্কুল ক্রিকেট ম্যাচে ৬৬৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়ার সময় রান নিচ্ছেন শচীন ও বিনোদ কাম্বলি।

১৯৯০ সালের আগস্টে ১৭ বছর ৩ মাস ১৭ দিন বয়সে ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ডের ম্যানেচেস্টারে অপরাজিত ১১৯ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন শচীন।

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে একটি ম্যাচে ড্রেসিংরুমে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম দুই তারকা রাহুল দ্রাবিড় (বামে) ও সৌরভ গাঙ্গুলীর (ডানে) সঙ্গে আড্ডার মধ্যমণি শচীন।

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডন ব্রাডম্যানকে। সেই ব্রাডম্যানই শচীনকে তার মতো খেলে বলে স্বীকৃতি দেন। শচীনকে ব্যাটে অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় ব্রাডম্যানসহ ‘দুই ভিনগ্রহের ক্রিকেটার’কে ফ্রেমবন্দি করে ফেলেন সৌভাগ্যবান আলোকচিত্রী।

ক্রিকেটের সেরারাও শচীনকে ‘সেরা’ বলতে বাধ্য হয়েছেন তার প্রতিভা ও অবদানের কারণেই। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিভা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারাও স্বীকার করেন, শচীন বিস্ময়কর প্রতিভা। আমি শচীনের তুলনায় কিছুই না। শচীনের ওপর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকেই কিনা তার প্রতিকৃতির পাশে পোজ দিয়ে নিজেকে ইতিহাসের স্বাক্ষী করতে চাইছেন লারা।

ব্যক্তিগতভাবে রেকর্ড ও অর্জনের এতো উচ্চতায় শচীন পৌঁছে গিয়েছিলেন, খোদ শচীনের সমালোচকরাও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন তার আর অর্জনের বাকি কিছু নেই। তবু শচীন ২৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আশা করতেন, তিনি দলে থাকা অবস্থায় যেন ভারত বিশ্বকাপ জেতে। সৃষ্টিকর্তা শচীনের সেই মনোবাসনাও অপূর্ণ রাখার ‘সাহস’ করলেন না। ২০১১ সালে নিজের কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপও হাতে পেলেন শচীন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে নতুন নতুন মাইলফলক ছোঁয়ার পর এভাবে কতবার ভক্ত ও দর্শকদের উদ্দেশে ব্যাট উঁচু করে অভিনন্দনের জবাব দিয়েছেন তা হিসেব কষতে হবে। তবে, ২০১২ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একশতম বারের মতো ১০০ করে যে ব্যাট উঁচিয়েছেন সেই মুগ্ধতায় শতো বছর বিভোর থাকবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের এতোসব অর্জনের জন্য স্ত্রী অঞ্জলিই অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন বলে জানান শচীন। সৌভাগ্যের প্রতীক অঞ্জলিকে ১৯৯৫ সালে নিজের ঘরে ওঠানোর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়।

ক্রিকেটে বিস্ময়কর সাফল্য এনে দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অবদান স্বরূপ শচীনকে ২০১০ সালে ‘গ্রুপ ক্যাপ্টেন’ পদ মর্যাদায় ভূষিত করে দেশটির বিমান বাহিনী।

২০১২ সালে রাজনীতিতেও যোগ দেন ক্রিকেটে ‘সম্পূর্ণ’ সফল শচীন। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর ভাষণ দিচ্ছেন তিনি।

এই পতাকার জন্যই না সমালোচকদের তীব্র খোঁচা ও অপমান সহ্য করে ২৪ বছর ক্রিকেট খেলে গেছেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’।

বাবার মতো শৈশব থেকেই ক্রিকেটে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন অর্জুন টেন্ডুলকার। শচীন বলছেন, অবসরের পর ছেলেকে ক্রিকেটের প্রতি আরও অনুপ্রাণিত ও উৎসর্গী হতে প্রেরণা দেবেন তিনি। প্র্যাকটিসের সময় ছেলেসহ শচীনকে এমন প্রাণোচ্ছল ভঙ্গিতেই ক্যামেরাবন্দি করেন আলোকচিত্রী।
Post a Comment