0
ক্রিকেট যে শুধু ১১ জনের খেলা নয়, এ বিষয়টি আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। মাঠে গুরুত্বপূর্ণ, সঠিক ও নিরপেক্ষ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যারা খেলাটিকে সার্থক ও সফল করে তোলেন, সেই আম্পায়ারদের কথাই আমাদের একদম মনে থাকে না। ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা পাঁচ আম্পায়ারকে নিয়ে আজকের এই আলোচনা। এ আলোচনায় ক্রিকেটের পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিজীবনের অনেক চমকপ্রদ তথ্যও উঠে এসেছে।


১. হেরল্ড ডেনিস বার্ড, ইংল্যান্ড : ডিকি বার্ড হিসেবেই সমধিক পরিচিত তিনি। ১৯ এপ্রিল ১৯৩৩ ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের কাছে বানসলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বোর্ড পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে স্কুল পালানো ডিকি বার্ড প্রথম জীবনে বাবার সঙ্গে একটি কয়লাখনিতে কাজ করতেন। তার পছন্দের খেলা ছিল ফুটবল। কিন্তু একটি ইনজুরিই সব বদলে দিল। ফুটবল ছেড়ে ধরলেন ক্রিকেট। ১৯৫৬-৬৪ সময়কালে তিনি একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়র্কশায়ার ও লেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন। এরপর প্রশিক্ষণ নেন আম্পায়ারিংয়ে। কাউন্টি ক্রিকেটে বছর তিনেক আম্পায়ারিংয়ের পরই তিনি ডাক পান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার একটি টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার মধ্য দিয়ে তার যাত্রা শুরু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ডিকি বার্ড ৬৬টি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেন, যেটি ছিল একসময় পর্যন্ত বিশ্বরেকর্ড। এছাড়া তিনি ১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ১৯৮৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচসহ ৬৯টি ওডিআই ম্যাচ পরিচালনা করেন। ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে ফাইনাল ম্যাচ শেষে তার ঐতিহাসিক সাদা ক্যাপটি ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যায়, যেটি এক বছর পর সাউথ লন্ডনের এক বাস কন্ডাক্টরের মাথায় খুঁজে পান তিনি।
ডিকির ছিল লব্ধজ্ঞান ও কার্যকারণের সমন্বয়ে সূক্ষ্ম বিচারিক ক্ষমতা এবং অনেক তীক্ষষ্ট ও প্রখর সেন্স অব হিউমার, যার দরুন তিনি ছিলেন সব ক্রিকেটারের সম্মান ও আস্থার পাত্র। ১৯৯৬ সালে লর্ডসে তার জীবনের শেষ টেস্ট ম্যাচে ইংরেজ ও ভারতীয় খেলোয়াড়রা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। ২০১২ সালে ক্রিকেট ও মানবকল্যাণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটেনের রানী তাকে ‘অফিসার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)’ পদকে ভূষিত করেন।
২. ডেভিড শেফার্ড, ইংল্যান্ড : ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪০-এ বাইডফোর্ড, ডেবনে জন্মগ্রহণকারী ডেভিড শেফার্ড কীর্তিমান ও সর্বাধিক জনপ্রিয় আম্পায়ারদের একজন। শেফার্ড ছিলেন একজন কাউন্টি ক্রিকেটার। দীর্ঘ ১৪ বছর গ্লস্টারশায়ারে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছিলেন তিনি। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানান। ১৯৮১ সালে তিনি আইসিসির নিয়োগ পান। দু’বছর পর ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার খেলা পরিচালনার মাধ্যমে ওডিআই আম্পারিংয়ে তার অভিষেক ঘটে। টেস্ট আম্পায়ারিংয়ে তার অভিষেক হয় ১৯৮৫ সালে ওল্ডট্র্যাফোর্ডে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে, যে ম্যাচে অন্য আম্পায়ার ছিলেন আরেক বিশ্বসেরা ডিকি বার্ড।
শেফার্ড ছিলেন হাতেগোনা আম্পায়ারদের একজন, যিনি ১৯৯০ সালে গঠিত আইসিসি নিরপেক্ষ আম্পায়ার প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত এবং দীর্ঘ দুই দশকের অধিক সময়ের ক্যারিয়ার শেষে টেস্ট ও ওডিআই উভয় শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে ২০০৫ সালে অবসরের আগপর্যন্ত এই প্যানেলের সদস্য ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ৯২টি টেস্ট, ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচসহ ১৭২টি ওডিআই ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড টিম তাকে গার্ড অব অনার দেয়। জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ম্যাচশেষে কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা ডেভিড শেফার্ডকে তার সেবা, স্মৃতি ও পেশাদারিত্বের স্মারক হিসেবে একটি ব্যাট উপহার দেন। ১৯৮৭ সালে শেফার্ড ক্রিকেটে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মেম্বার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারে ভূষিত হন। ২০০৮ সালে ৬৮ বছর বয়সে তিনি তার দীর্ঘদিনের গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করেন। এর এক বছর পর ঘাতক ব্যাধি ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এই কীর্তিমান আম্পায়ার। ক্রিকেটবিশ্ব তাকে আজীবন স্মরণ করবে শ্রদ্ধার সঙ্গে।
৩. স্টিভ বাকনার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ : পুরো নাম স্টিফেন এন্থনি বাকনার। পরিসংখ্যানের বিচারে তিনিই সর্বকালের সেরা আম্পায়ার। কী টেস্ট, কী ওয়ানডে! সবাইকে ছাপিয়ে তিনি। দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ১২৮টি টেস্ট ও ১৮১টি ওডিআই ম্যাচ পরিচালনার এক অনবদ্য এবং অনন্য রেকর্ড তার। জ্যামাইকার মন্টেগু বে-তে ১৯৪৬ সালের ৩১ মে জন্মগ্রহণকারী বাকনার দীর্ঘদেহী আম্পায়ারদেরও একজন। উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি।
প্রথম জীবনে বাকনার ছিলেন হাইস্কুলের একজন গণিত শিক্ষক ও ক্রীড়া প্রশিক্ষক। ১৯৮৮ সালে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এল সালভেদর ও নেদারল্যান্ডের ম্যাচে ফুটবল রেফারি হিসেবে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করেন। ইতোমধ্যে বাকনারের বয়স ৪৫-এর কোঠায়। ফিফার আইন অনুযায়ী এ বয়সের কেউ রেফারি থাকতে পারেন না। এই আইন শাপে বর হয় বাকনারের জন্য। এর ফলে বাকনার অনুপ্রাণিত হন ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ে এবং ক্রিকেটবিশ্ব পায় তার মতো অসাধারণ একজন আম্পায়ারকে।
মার্চ ১৯৮৯ সেন্ট জনস, এন্টিগুয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ভারত ওডিআই ম্যাচ দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু এবং একই সিরিজে তার হোম গ্রাউন্ড কিংসটন, জ্যামাইকায় টেস্ট অভিষেক হয়। ডেভিড শেফার্ডের সঙ্গে তিনিও ১৯৯০ সালে প্রথম গঠিত আইসিসি নিরপেক্ষ আম্পায়ারের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণের আগপর্যন্ত তিনি আইসিসি এলিট প্যানেলের সদস্য ছিলেন। এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে বাকনার ছিলেন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। যথেষ্ট সময় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তিনি সিদ্ধান্ত দিতেন। বোলার ও ফিল্ডাররা দীর্ঘক্ষণ তীব্র আবেদন করে শ্রান্ত-ক্লান্ত হয়ে যখন ধরেই নিতেন ব্যাটসম্যান নটআউট, তখন ধীরে ধীরে এক রাজসিক ভঙ্গিতে আঙুল তুলতেন বাকনার। তার এই স্বতন্ত্র রাজসিক ভঙ্গি ক্রিকেটবিশ্বে স্লো ডেথ হিসেবে খ্যাতি পায়। ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাকনার, যে কোনো আম্পায়ারের জন্য ছিল যা এক ঈর্ষণীয় অর্জন। ক্রিকেটে গেম স্পিরিট বজায় রাখতে আইসিসি তার ওপর কতটা নির্ভর ছিল, সেটা এ থেকেই প্রমাণ হয়। কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য ভারতীয় সমর্থকদের কাছে বাকনার সবসময় ভিলেন হিসেবেই পরিচিতি পাবেন। ২০০৮ সালের সিডনি টেস্টে ভারতের পরাজয়ের জন্য তাকে দায়ী করা হয়। ওই ম্যাচে ভারতের জয়ই প্রাপ্য ছিল বলে অনেকে মনে করেন।
২০০৯ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি ছিল স্টিভ বাকনারের ক্যারিয়ারের সর্বশেষ টেস্ট এবং এর এক মাস পর বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের পর ওডিআই থেকেও অবসর নেন কিংবদন্তি এই আম্পায়ার। শতাধিক টেস্ট ও শতাধিক ওডিআই ম্যাচ পরিচালনার অনবদ্য রেকর্ডের জন্য আইসিসি তাকে যথাক্রমে ব্রোঞ্জ বেইল অ্যাওয়ার্ড ও গোল্ডেন বেইল অ্যাওয়ার্ড দেয়।
৪. সাইমন টোফেল, অস্ট্রেলিয়া : 

 বলা হয়ে থাকে সাইমন টোফেলের সিদ্ধান্ত ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মতোই নিখুঁত। ২১ জানুয়ারি ১৯৭১-এ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জন্মগ্রহণ করা এই আম্পায়ার শুরু থেকেই আইসিসি এলিট প্যানেলের সদস্য। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে তিনি চারবার আইসিসি আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড লাভের অনন্য গৌরব অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে ২৮তম জন্মদিনের আটদিন আগে তার হোমটাউন সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া বনাম শ্রীলঙ্কা ওডিআই ম্যাচের মাধ্যমে সাইমন টোফেলের অভিষেক ঘটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ারিংয়ে। পরের বছর মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে তার টেস্ট অভিষেক হয়। এক দশক ধরে ওডিআইতে অস্ট্রেলিয়ার প্রভাব বিস্তারের কারণে নিয়মের বেড়াজালে পড়ে ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০০৬ ও ২০০৯ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ফাইনালে আম্পায়ারের দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত হন আইসিসির সর্বশেষ এলিট প্যানেলের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য সাইমন টোফেল। অবশেষে ২০১১ সালে মুম্বাইয়ে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বিশ্বকাপ ফাইনালে আম্পায়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় তার। সাইমন টোফেল সর্বাধিক টি-২০ ম্যাচে দায়িত্ব পালনকারী আম্পায়ার। সবচেয়ে কম বয়সে ১০০ ওডিআই ম্যাচ পরিচালনার অনন্য গৌরব অর্জন করেন তিনি। এ পর্যন্ত তিনি ৭১টি টেস্ট, ১৭২টি ওডিআই ও ২৬টি টি-২০ ম্যাচ পরিচালনা করেন (০৭.০৬.২০১২ পর্যন্ত)। সাইমন টোফেলের মতো দক্ষ আম্পায়ারও ২০০৭ সালে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ড বনাম ভারত টেস্টে পরপর দুটি ভুল সিদ্ধান্ত দেন।

৫. আলীম দার, পাকিস্তান :


 আলীম সারওয়ার দার। বর্তমানে বিশ্বসেরা এই আম্পায়ার আছেন সর্বকালের সেরা পাঁচ-এর তালিকায়ও। আলীম দার ১৯৬৮ সালের ৬ জুন পাঞ্জাবের জংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ক্রিকেটারই হতে চেয়েছিলেন তিনি। এক দশকের অধিককাল পাকিস্তান রেলওয়ে, লাহোর, গুজরানওয়ালা, অ্যালাইড ব্যাংকসহ বিভিন্ন দলের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন। বড় ধরনের কোনো সফলতা পাননি। ত্রিশের কোঠায় এসে ভাবলেন, ক্রিকেটারের চেয়ে আম্পায়ার হওয়া তো মন্দ নয়। ঘটনাক্রমে ২০০০ সালে গুজরানওয়ালায় পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা ওডিআই ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। দু’বছরের মাথায় আইসিসি ইন্টারন্যাশনাল আম্পায়ার প্যানেলের সদস্য হন এবং আরও দু’বছর পর আইসিসি এলিট প্যানেলের সদস্য হন। ২০০৩ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড ম্যাচের মাধ্যমে টেস্ট আম্পায়ারিংয়ে তার অভিষেক হয়। আলীম দার ২০০৬ সালে মুম্বাইয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ এবং ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালেও দায়িত্ব পালন করেন এই বিশ্বসেরা আম্পায়ার। আলোর স্বল্পতায় খেলা পরিচালনা নিয়মের ভুল প্রয়োগের কারণে তিনি ও স্টিভ বাকনার ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ হন। ক্যারিয়ারের এই একটিমাত্র কালো অধ্যায় বাদ দিলে বাকিটা সম্পূর্ণ আলোয় ঝলমল। টি-২০ ম্যাচে আলীম দার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ পরিচালনাকারী আম্পায়ার। টি-২০ ম্যাচে তার অভিষেক হয় ২০০৯ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের মাধ্যমে। ২০১০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নিখুঁত সিদ্ধান্ত দিতে তার পারদর্শিতা কিংবদন্তিতুল্য। ২০১১ বিশ্বকাপে তিনি ১৫টি এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত দেন, যার প্রতিটিই ইউআরডিএস পদ্ধতিতে সঠিক ও নিখুঁত প্রমাণিত হয়। নিরীক্ষার পর একটি সিদ্ধান্তও পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়নি। ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে টানা তিনবার আইসিসি আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়ে হ্যাটট্রিকের গৌরব অর্জন করেন বর্তমান এলিট প্যানেলের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আলীম দার। এ পর্যন্ত (০৭.০৬.২০১২ পর্যন্ত) তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ৭৪টি টেস্ট, ১৫০টি ওডিআই এবং ১৮টি টি-২০ ম্যাচ পরিচালনার অনবদ্য কৃতিত্ব।

YOUR NAMEAbout Me
আসসালামু আলাইকুম। নবীন বাংলা ব্লগ সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আসলে এই ব্লগ সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এবং আমি এই সাইটের এডমিন, মূলত ব্লগিং প্রাকটিস এবং মুক্ত জ্ঞাণ চর্চার জন্যই এই সাইটটি ওপেন করেছি। আমার সাইটের পোস্টগুলো অন্যান্য সুনাম খ্যাত ব্লগ সাইটে সমূহে পাবলিশ করে থাকি তথারুপ টেকটিউন্স, টিউনারপেইজ। ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকব নবীন বাংলা ব্লগে লেখালেখি করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এখানে অন্যান্য লেখকদের বাছাই করা পোস্টগুলো পাবলিশ করা হয়। এবং ইচ্ছা করলে আপনিও এই ব্লগের অতিথি লেখক হিসাবে শুরু করতে পারেন।পরিশেষে আমার সাইট কিংবা প্রকাশিত লেখা সম্পর্কে কোন আপনাদের অভিযোগ, মতামত, পরামর্শ থাকলে তা সাদরে গ্রহন করা হবে। আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সবাইকে!!
Follow : | | Facebook | Twitter

Post a Comment

 
Top